
অধিকার পত্র ডটকম | ঢাকা | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বড় ধাক্কা খেয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)–সমর্থিত ছাত্র সংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। এবারের নির্বাচনে ২৮টি পদে একটিতেও জয় পায়নি তারা। এমন ভরাডুবির পর সংগঠনটির ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে এনসিপি, যেখানে আলোচনায় এসেছে সংগঠনের নাম পরিবর্তন ও কাঠামোগত সংস্কার।
নির্বাচনে কারা এগিয়ে
গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির–সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট বিপুল বিজয় পেয়েছে। তারা ২৩টি পদে জয়ী হয়েছে।
- স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জিতেছে ৪টি পদে (এর মধ্যে দুজন শিবির–সমর্থিত)।
- বামপন্থী প্যানেল প্রতিরোধ পর্ষদ পেয়েছে ১টি পদ।
- অন্যদিকে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ–সমর্থিত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ শূন্য হাতে ফিরে গেছে। তাদের ভিপি ও জিএস প্রার্থী ভোটের হিসাবে পঞ্চম স্থানে ছিলেন।
অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও দুর্বল প্রচারণা
শুক্রবার রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্বাহী কাউন্সিলের বৈঠকে এই ব্যর্থতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
নেতাদের অনেকে স্বীকার করেছেন—
- দলের অভ্যন্তরীণ বিভাজন ও কোন্দল
- প্রার্থীদের অভিজ্ঞতার অভাব
- কার্যকর প্রচারণার ঘাটতি
—এসব কারণে এমন পরাজয় হয়েছে।
সামনে কী পরিবর্তন আসতে পারে
সভায় বেশ কয়েকজন নেতা প্রস্তাব দেন, সংগঠনের নাম পরিবর্তনসহ কাঠামোগত পরিবর্তন আনা দরকার। এনসিপি মনে করছে, নতুন প্রজন্মের কাছে আকর্ষণীয় হতে হলে ছাত্র সংগঠনটিকে আধুনিক রূপে সাজাতে হবে।
উপসংহার
ডাকসুর এই ফলাফলে স্পষ্ট হয়েছে, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদকে টিকে থাকতে হলে ভেতরের সংকট সমাধান ও নতুন কৌশল গ্রহণ জরুরি। সামনে তাদের নাম পরিবর্তন হলে ছাত্ররাজনীতির ময়দানে নতুন সমীকরণ তৈরি হতে পারে।
ডাকসু নির্বাচন ২০২৫ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ইসলামী ছাত্রশিবির ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট ছাত্ররাজনীতি বাংলাদেশ জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: