ঢাকা | Monday, 20th October 2025, ২০th October ২০২৫

ক্ষমতায় গেলে এজেন্ডা কী হবে জানতে চাইল ইইউ, যা বলল জামায়াত

odhikarpatra | প্রকাশিত: ২৮ September ২০২৫ ২১:২৪

odhikarpatra
প্রকাশিত: ২৮ September ২০২৫ ২১:২৪

অধিকারপত্র ডটকম ডেস্ক 

ঢাকা | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের আমির ডা. শফিকুর রহমান ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকটি রোববার দুপুরে রাজধানীর ভাটারা এলাকার জামায়াত আমিরের বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকের মূল বিষয়বস্তু

বৈঠক শেষে দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার জানান, ইইউ প্রতিনিধিদল জামায়াত আমিরের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে মতবিনিময় করেছেন। প্রতিনিধিদল আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দল ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় করাই সফরের মূল উদ্দেশ্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তারা নির্বাচনের ৬৪টি জেলায় পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করবেন এবং প্রত্যেক জেলায় একজন প্রতিনিধি পাঠাবেন।
জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান প্রতিনিধিদলকে জানান, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ছাড়াও একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে ইইউ’র টেকনিক্যাল সাপোর্ট প্রয়োজন।

প্রবাসীদের ভোটাধিকার

প্রতিনিধিদল জানতে চেয়েছে, প্রবাসীদের ভোটাধিকার বিষয়টি জামায়াত কীভাবে দেখছে। জামায়াত আমির বলেন, “জামায়াতই প্রথম এক কোটির বেশি প্রবাসী ভোটারের ভোটাধিকার নিয়ে দাবি তুলেছে।” এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে প্রবাসীদের ভোটের ব্যবস্থা শুরু করেছে।

ক্ষমতায় গেলে প্রধান এজেন্ডা

ইইউ প্রতিনিধিদলের প্রশ্নের জবাবে জামায়াত আমির তিনটি মূল এজেন্ডা উল্লেখ করেছেন:

শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন: নাগরিকদের যোগ্য করে তোলার জন্য নৈতিক, উৎপাদনমুখী, টেকনিক্যাল, দক্ষতা, বৈষয়িক ও মানবিক শিক্ষাব্যবস্থা গ্রহণ।

দুর্নীতি মুক্ত সমাজ: সমাজের সব স্তরে দুর্নীতি বন্ধ করে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক পরিবেশ নিশ্চিত করা।

সোশ্যাল জাস্টিস: সামাজিক ন্যায়বিচারের সংস্কার ও বিরোধী ও ভিন্নমতের উপর নির্যাতন বন্ধ করা।

জামায়াত আমির উল্লেখ করেন, “বিগত ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট সরকারের কারণে মানুষ বঞ্চিত হয়েছে, রাজনৈতিক কার্যালয় বন্ধ করা হয়েছে এবং নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।”

নির্বাচনের প্রস্তুতি

জামায়াত আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত, তবে শর্ত হলো জাতীয় সনদের আইনিভিত্তি অনুযায়ী নির্বাচন অবশ্যই ফ্রি, ফেয়ার ও গ্রহণযোগ্য হতে হবে।

প্রতিনিধিদলের মন্তব্য

ইইউ নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ দলের সদস্যরা জানিয়েছে, নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার আগে তারা আবারও বাংলাদেশ সফরে আসবেন এবং ঘনিষ্ঠভাবে মতবিনিময় করবেন।

উপস্থিত সদস্যরা

ইইউ পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন: নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ মেটে বাক্কেন, ম্যানুয়েল ওয়ালি, ও ডেপুটি হেড বাইবা জারি না।
জামায়াতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন: কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগরী উত্তর মেডিকেল থানার আমির ডা. এসএম খালিদুজ্জামান, এবং জামায়াত আমিরের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: