
সম্প্রতি বাংলাদেশে একাধিক সপরিবারে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে, যা আর্থিক চাপ, এনজিওর ঋণ ও পারিবারিক কলহের সংকেত বহন করছে।
ঢাকা, ৪ অক্টোবর ২০২৫ (অধিকার পত্র ডেস্ক ) —
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সম্প্রতি একাধিক সপরিবারে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে, যা সামাজিক ও মানসিক সংকটের গভীর সংকেত বহন করছে। এসব ঘটনায় আর্থিক চাপ, এনজিওর ঋণ, পারিবারিক কলহ ও মানসিক অবস্থা প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য ঘটনা:
-
রাজশাহী: মিনারুল ইসলাম তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যা করে আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনাস্থলে পাওয়া চিরকুটে তিনি লিখেছেন, “আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে। এত কষ্ট আর মেনে নিতে পারছি না।”
-
কুমিল্লা: মা ও মেয়ে বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশের ধারণা, ‘অভাব-অনটন, ঋণের চাপ আর দীর্ঘদিনের অসুস্থতার জেরে’ এই ঘটনা ঘটেছে।
-
সিলেট: গোয়াইনঘাটে আলী আহমদ তার স্ত্রীকে হত্যা করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতামত:
-
অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদ: এসব ঘটনাকে 'প্যাকড সুইসাইড' বা 'সুইসাইড ফলোড বাই হোমিসাইড' বলা হয়।
-
অধ্যাপক এম এম এ সালাউদ্দিন কায়সার: প্রায় ৯০ শতাংশ আত্মহত্যার কারণ 'মানসিক রোগ'।
-
সমাজবিজ্ঞানী তৌহিদুল হক: আর্থিক ও সামাজিক সংকটের কারণে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন।
সামাজিক প্রেক্ষাপট:
-
আঁচল ফাউন্ডেশনের তানসেন রোজ: এনজিওর ঋণের বোঝা ও পারিবারিক একাকিত্ব এসব ঘটনার পেছনে রয়েছে।
-
অধ্যাপক মাহবুব কায়সার: সামাজিক বন্ধন দুর্বল হওয়ায় এসব ঘটনা ঘটছে।
রাষ্ট্রীয় প্রতিক্রিয়া:
-
মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন: ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থাপনায় কিছু সমস্যা থাকলেও, ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে নজরদারি বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
-
সমাজসেবা অধিদপ্তরের মোশাররফ হোসেন: এসব ঘটনা সামাজিক অবক্ষয়ের ফল, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় নয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: