বিশেষ প্রতিনিধি, অধিকার পত্র ডটকম :
রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্টের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় আসামি করা হয়েছে অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনকে। তবে তিনি স্পষ্টভাবে দাবি করেছেন, সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত থাকার মতো কোনো কাজ তিনি করেননি এবং এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে মামলার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিবিসি বাংলাকে শাওন বলেন, “আমি শুনেছি যে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেছে। সন্ত্রাস জিনিসটা তো দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। কাজেই সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হওয়ার মতো কিছু আমি করিনি—এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত।”
এই মামলায় শাওনের পাশাপাশি আসামি করা হয়েছে সাংবাদিক আনিস আলমগীর, মডেল মারিয়া কিশপট্ট ও উপস্থাপক ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজকে। অভিযোগে বলা হয়, নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ‘সন্ত্রাসী কার্যক্রমে উস্কানি’ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ‘কটূক্তি’র মাধ্যমে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্টের ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
এ বিষয়ে শাওন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে বা বিপক্ষে বক্তব্য দেননি। “আমি আজ পর্যন্ত কোনো দলের নাম বা নেতার নাম ব্যবহার করে কিছু লিখিনি—পক্ষে হোক বা বিপক্ষে,” বলেন তিনি।
নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে অভিনেত্রী আরও বলেন, “আমি কোনো রাজনৈতিক বিশ্লেষক না। আমি দেশের একজন সাধারণ নাগরিক। একজন নাগরিক হিসেবে যখন আমার কষ্ট লেগেছে, খটকা লেগেছে, মনে হয়েছে কোনো ঘটনা ঘটা উচিত হয়নি—সেই জায়গা থেকেই আমি মত প্রকাশ করেছি।”
বাকস্বাধীনতার প্রশ্ন তুলে শাওন বলেন, “একাত্তর থেকে আমরা কী চেয়েছি? আমরা তো মতপ্রকাশের অধিকারই চেয়েছি। চব্বিশের জুলাইতেও যে কথাটা বলা হয়েছিল, সেটাও ছিল বাকস্বাধীনতা। এখন যদি একদম সাধারণ মতপ্রকাশেই মামলা হয়, আর মামলার সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতারের ভয় থাকে—তাহলে সেই বাকস্বাধীনতাটা কোথায় গেল?”
এই মামলাকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যেই আলোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে। নাগরিক অধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বিশেষ প্রতিনিধি, অধিকার পত্র ডটকম

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: