১৭ বছর পর নির্বাসন শেষে দেশে ফিরলেন তারেক রহমান, বিএনপির নেতৃত্বে নতুন অধ্যায়ের সূচনা
ঢাকা | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘ ১৭ বছর পর নির্বাসন শেষে দেশে ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
তারেক রহমানের আগমনকে ঘিরে রাজধানী ঢাকায় দেখা যায় অভূতপূর্ব জনসমাগম। বিমানবন্দর থেকে সমাবেশস্থল পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে অবস্থান নেন বিএনপির লাখো নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। তারা দলীয় পতাকা, ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিতে দিতে তারেক রহমানকে স্বাগত জানান।
৬০ বছর বয়সী তারেক রহমান ২০০৮ সালে রাজনৈতিক নিপীড়নের অভিযোগ তুলে দেশ ছাড়েন এবং দীর্ঘ সময় লন্ডনে অবস্থান করেন। বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, তিনি দলের চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার কারণে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন।
আসন্ন ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তারেক রহমানকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবেও বিবেচনা করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য
বিএনপি নেতারা জানান, তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে কয়েক মিলিয়ন মানুষের সমাগমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল, যা দলটির ইতিহাসে নজিরবিহীন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে,
“বর্তমানে বাংলাদেশ এক অনিশ্চিত ও অস্থির সময় পার করছে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলেও বিএনপির নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরেই একটি শূন্যতা ছিল। তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে সেই শূন্যতা পূরণ হতে যাচ্ছে।”
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস জনপ্রিয় হলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি স্থিতিশীল হয়নি। এই প্রেক্ষাপটে তারেক রহমান দেশের রাজনৈতিক ঐক্য ও ভারসাম্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও পটভূমি
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে পূর্বে দায়ের হওয়া একাধিক মামলার কারণে তিনি দীর্ঘদিন দেশে ফিরতে পারেননি। এসব মামলার মধ্যে অর্থপাচার ও রাজনৈতিক সহিংসতার অভিযোগও ছিল। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এসব মামলার রায় বাতিল হলে তার দেশে ফেরার আইনি বাধা দূর হয়।
২০০৬–২০০৮ সালের সামরিক সমর্থিত সরকারের সময় আটক অবস্থায় নির্যাতনের শিকার হওয়ার অভিযোগ তুলে চিকিৎসার জন্য তারেক রহমান লন্ডনে চলে যান।
দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পালাক্রমে ক্ষমতায় থাকার রাজনীতির পর বর্তমান পরিস্থিতিকে বিশ্লেষকরা বাংলাদেশের সবচেয়ে সংবেদনশীল রাজনৈতিক রূপান্তরকাল বলে মনে করছেন।
একটি আন্তর্জাতিক জরিপ অনুযায়ী, আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি সবচেয়ে বেশি সংসদীয় আসন পেতে পারে, তবে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় রাজনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কাও র
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: