ঢাকা, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
জামায়াতে ইসলামী এমন একটি কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায়, যাতে শিক্ষা গ্রহণের পর কোনো তরুণ বেকার না থাকে—এমন মন্তব্য করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, তরুণ সমাজকে বেকার ভাতার ওপর নির্ভরশীল না করে প্রত্যেকের হাতে কাজ তুলে দেওয়াই জামায়াতের লক্ষ্য।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্তৃপক্ষ বা সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য:
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “অনেকে বলছেন, নির্দিষ্ট সংখ্যক যুবককে চাকরি দেবেন, বাকিদের ভাতা দেবেন। কিন্তু আমরা চাই না দেশের তরুণেরা কারও কাছ থেকে বেকার ভাতা নিক। আমরা চাই প্রতিটি হাত হোক দেশ গড়ার কারিগরের হাত।”
নির্বাচনী সমঝোতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনটি শর্ত মানলে যেকোনো রাজনৈতিক দল জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতায় আসতে পারে। শর্তগুলো হলো—দুর্নীতি না করা, দুর্নীতিবাজদের প্রশ্রয় না দেওয়া এবং সব নাগরিকের জন্য সমান বিচার নিশ্চিত করা। একই সঙ্গে রাষ্ট্র সংস্কার সংক্রান্ত সব সুপারিশ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে।
ছাত্রশিবির প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, এটি এখন আর শুধু একটি ছাত্রসংগঠন নয়; সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ছাত্রসমাজ এই সংগঠনকে নেতৃত্ব ও অভিভাবকের দায়িত্ব দিয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষার্থীদের হাতে কলমের বদলে অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছিল এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অস্থিতিশীলতার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল। সেই পরিস্থিতি পরিবর্তনের সংগ্রাম এখনো চলমান বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, দেশ নিয়ে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, তবে এই অগ্রযাত্রা থামাতে একটি চক্র অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। জনগণ এসব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবে না বলেও তিনি দাবি করেন।
জামায়াতে ইসলামী শফিকুর রহমান কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা ইসলামী ছাত্রশিবির সম্মেলন জামায়াত নির্বাচন সমঝোতা ছাত্ররাজনীতি বাংলাদেশ

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: