ঢাকা | রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
একমাত্র সাংবাদিকরা সরেনি বলেই কোনো এ‍্যকশনে যেতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

হামলাকারীরা সাধারণ ছাত্রদের মতো থাকলেও তাদের আসল পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে:আনজাম খালেক

এস খালেক | প্রকাশিত: ৫ আগস্ট ২০১৮ ১৭:৫৫

এস খালেক
প্রকাশিত: ৫ আগস্ট ২০১৮ ১৭:৫৫

 এস টিভির রিপোর্টার আনাজন খালেক আক্ষেপ করে বলেছে কাদের জন্য জিবন বাজি রেখে, রোদে পুরে,বৃসটি উপেক্ষা করে, পুলিশের সত বাধা নিষেধ অমান্য করে রাজপথে থেকে কোমলমতি ছাএদের আন্দোলন কভার করেছি, আমরা তা প্রচার করেছি বলেই দেশবাসী ওদের আনদোলন সমর্থন করেছে ,এবং সরকার তাদের দাবী মেনে নিয়েছে, কিনতু তারাই কিনা আজ আমাদের উপর এমন জঘন্যতম বরর্র হামলা করলো, তবে আনজাম খালেক বলেন প্রধান মন্ত্রী যখন কোমলমতি ছাএদের কোনপ্রকার আঘাত করতে নিশেধ করে দিল এবং নিহত ছাত্র ছাত্রী, দের বাবা মা কে ডেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করলো, স্কুল বাস দেওয়া সহ ছাত্রদের সব গুলো দাবী মেনে নিল তখন আাবার ছাএদের কার উস্কে দিল ,তাদের সাথে কারা যোগ দিল এবং সাংবাদিক ,পুলিশ, পথচারী ,সহ গাড়ি ভাংচুর সুরু করলো, আনজাম বলেন ছাএদের আন্দোলন আমি নিজ চোখে দেখেছি তাদের চোখে  ক্ষোভ দেখেছি কিনতু কোন ধংসাত্তাক কাজ করার মানসিকতা দেখিনি কিন্তু হঠাৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছরিয়ে, কোমলমতি ছাএদের মাঝে ঢুকে দেশে এমন অরাজকতা ,নৈরাজ্য পরিবেশ তৈরী করছে, সরকার যদি বিষয়টির দিকে নজর না দেয়, তাহলে কুচক্রী মহল তাদের ফয়দা হাসিল করবে এতে দেশের এবং কোমলমতি ছাএ দের ভিষন ক্ষতির সম্ভাবনার আশংকা করছে এই প্রতিভাযসা সাংবাদিক আনজাম খালেক। নিচে আনজাম খালেক ফেজবুক  স্ট্যাটাসটি দেওয়া হলো

সাংবাদিকরা মিডিয়ায় আপনাদের খবর প্রচার করেছে বলেই দেশের অধিকাংশ মানুষের সমর্থন পেয়েছেন। আরো অসংখ্য অবদান আছে। এতো তাড়াতাড়ি সব ভুলে গেছেন??? ছি: ধিক্কার জানাই এসব অকৃতজ্ঞদের... ????

সাংবাদিকদের ওপর হামলা করে কখনো কেউ ভাল কিছু করতে পারেনি। ক্যামেরা ভেঙ্গে সাংবাদিকদের ভয় দেখালেই দাবি আদায় হয় না। মনে রাখবেন কোন হুমকি, মামলা হামলা করে কলম বন্ধ করা যাবে না।

আন্দোলনের নিউজ করতে গিয়ে অনেক ছাত্র আমাদের বলেন মিডিয়া নাকি ভুল তথ্য দিচ্ছে, তাদের দাবি দুর্ঘটনায় ৭/৮ জন মারা গেছে। কিন্তু প্রচার করা হচ্ছে ২ জন। একথা বলে নানান অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করছে এই শিক্ষার্থীরাই। কিন্তু নিহতদের নাম-ঠিকানা চাইলে দিতে পারে না। আরে ভাই আমি প্রমাণ না পেয়ে আপনার কথা শুনে ৮ জন মরার খবর দিলে সরকার যদি বাকি ৬ জনের লাশ চাই আমার কাছে তো আমি কি লাশ পয়দা করে দেবো?

২/৩ দিন আগেও এক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকরাই তাকে জোর করে পুলিশের কাছ থেকে ছাড়ালো। সেই ভিডিও ভাইরাল হলো। শুক্রবার শাহবাগে গাড়ির কাগজ চেক করার সময় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে পরিচয় পত্র দেখাতে না পারায় এক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে ধরেছিলো পুলিশ, পরে বেশ কজন সাংবাদিকের অনুরোধেই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। শুরু থেকেই সাংবাদিকদের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে, একমাত্র সাংবাদিকরা সরেনি বলেই কোনো এ‍্যকশনে যেতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সাংবাদিকরা মিডিয়ায় আপনাদের খবর প্রচার করেছে বলেই দেশের অধিকাংশ মানুষের সমর্থন পেয়েছেন। আরো অসংখ্য অবদান আছে। এতো তাড়াতাড়ি সব ভুলে গেছেন??? ছি: ধিক্কার জানাই এসব অকৃতজ্ঞদের... ????

আজ আপনারা যেভাবে আমার সহকর্মীদের উপর হামলা করলেন, এরপর আবার বইলেন যে সাংবাদিক ভাই আমাদের বাঁচান। কিভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে তা দেশবাসীকে জানান। তখন আমার সহকর্মীদের উপর হামলার জবাব দেবো... ????

(হামলাকারীরা সাধারণ ছাত্রদের মতো থাকলেও তাদের আসল পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে, তবে স্ট্যাটাসটি হামলাকারীদের জন‍্য, সে যেই হোক)

বি. দ্র: ছবিগুলো সংগ্রহীত



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: