odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Monday, 3rd November 2025, ৩rd November ২০২৫

নবেম্বর মাস থেকে বাংলাদেশেই নিয়ন্ত্রণ করা হবে গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব-মোস্তাফা জব্বার

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ২১ October ২০১৮ ১৭:২১

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ২১ October ২০১৮ ১৭:২১

‘আমরা আর পিছিয়ে নেই, অনেক দূর এগিয়েছি। ফেসবুক একসময় আমাদের কথায় কোনো কর্ণপাত না করলেও, এখন শুনছে। আমাদের দেশীয় আইনকানুন অনুযায়ীই তারা চলবে।

আগামী মাস থেকে ফেসবুক, ইউটিউব ও গুগল নিয়ন্ত্রণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এই মাসেই সব ধরনের ডিভাইস আসবে। এর মাধ্যমে নির্বাচনকে ঘিরে অপপ্রচার, গুজব ও মিথ্যা তথ্য প্রতিরোধ করতে সক্ষম হব।’

‘নির্বাচনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। গতকাল শনিবার বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এই আলোচনাসভার আয়োজন করে। সংগঠনটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে ও শহীদ সন্তান তৌহীদ রেজা নূরের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আরাফাত, একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক শহীদ সন্তান ডা. নুজহাত চৌধুরী, বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের (বোয়াফ) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময় এবং ব্লগার মারুফ রসুল। সম্প্রতি সংসদে পাস হওয়া ডিজিটাল আইন ও এ আইনের ব্যবহার নিয়ে বক্তাদের কেউ কেউ শঙ্কা প্রকাশ করেন। কিছু ক্ষেত্রে আগের আইনের ৫৭ ধারার চেয়ে বর্তমান আইনে অনেক ভালো কিছু হয়েছে বলেও মত উঠে আসে। মূল প্রবন্ধে আসিফ মুনীর তন্ময় গুজব প্রতিহত করতে সরকারের পক্ষ থেকে কী ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন সেই বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

মোস্তাফা জাব্বার বলেন, ‘কয়েক লাখ ব্যবহারকারী যখন ছিল, তখন ফেসবুক কর্তৃপক্ষ পাত্তা দেয়নি। কিন্তু কথা না শুনলে ফেসবুক ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হবে এমন হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে তারা অফিসে এসে বসে থাকে। আমাদের দেশের আইন অনুযায়ীই চলবে বলেও আশ্বস্ত করেছে। আগামী মাস থেকে ফেসবুক, ইউটিউব ও গুগলে মানহানিকর তথ্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।’

ডিজিটাল আইন প্রণয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আরো কঠিন। কিন্তু আমাদের দেশে যারা এ আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, তাদের সঙ্গে আলোচনার পর আইনটি দুর্বল হয়ে গেছে। আগামী দুই-তিন বছর পর আবার হয়তো দাবি উঠবে আইনটি আরো কঠিন করতে হবে।

যেকোনো আইনেই ভুল প্রয়োগের আশঙ্কা থাকে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভুল প্রয়োগও হয়, কিন্তু সে আইনটা কি বাদ দিয়ে দেওয়া হবে? আইন হলেও অপপ্রয়োগ রোধে কিছু সুনির্দিষ্ট নির্দেশনাও থাকবে’। সেটা নিয়েও কাজ চলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মারুফ রসুল বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় হলেও মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি এখনো নিষ্ক্রিয়। আমাদের অনেকেই ফেসবুকে সক্রিয় হলেও টুইটার ও ইনস্ট্রাগ্রামে সক্রিয় না। গুজব ও অপ্রচার রুখতে সবাইকে সক্রিয় হতে হবে। শুধু ব্যক্তিই নয়, সমন্বিতভাবে গুজব প্রতিহত করতে অনলাইনে সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দেন ডা. নুজহাত চৌধুরী। গুজব রুখতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে একটা করে প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তোলার পরামর্শ ও তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে প্রশিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে সরকারের উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দেন করীর চৌধুরী তন্ময়। ডিজিটাল আইনকে স্বাগত জানিয়ে মোহাম্মদ আরাফাত বলেন, এই আইনের যেন কোনো অপব্যবহার না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: