ঢাকা | শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

যে আমল করলে রিজিক বৃদ্ধি পায়

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ১১:০১

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ১১:০১

রিজিক বৃদ্ধির জন্য যে সব আমল করা যায় তা হলো-

আল্লাহতায়ালার প্রতি ঈমান আনা ও খোদাভীতি অবলম্বন করা। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য কোনো না কোনো পথ বের করে দেবেন। আর তাকে রিজিক দেবেন (এমন উৎস) থেকে যা সে ধারণাও করতে পারবে না।’ –সূরা তালাক: ২-৩

কৃতকর্মের জন্য তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা। এ প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও, তিনি বড়ই ক্ষমাশীল। (তোমরা তা করলে) তিনি অজস্র ধারায় তোমাদের ওপর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তানাদি বাড়িয়ে দেবেন, তোমাদের জন্য বাগান সৃষ্টি করবেন এবং তোমাদের জন্য নদীনালা প্রবাহিত করবেন। -সূরা নূহ: ১০-১২

আল্লাহর ওপর পরিপূর্ণ ভরসা করা। এ ব্যাপারে আল্লাহর ঘোষণা হলো, ‘যে কেউ আল্লাহর ওপর ভরসা করে, তবে তার জন্য তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ নিজের কাজ সম্পূর্ণ করবেনই। আল্লাহ প্রতিটি জিনিসের জন্য করেছেন একটা সুনির্দিষ্ট মাত্রা।’ -সূরা ত্বালাক: ৩

আল্লাহর ইবাদতে গভীর মনোনিবেশ করা। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ বিষয়ে বলেন, হজরত আবু হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আল্লাহতায়ালা বলেন, হে আদম সন্তান! আমার ইবাদতের জন্য আত্মনিয়োগ করো, আমি তোমার অন্তরকে অভাবমুক্ত করব, তোমার অভাবকে মোচন করব, আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার হাতকে কর্মে ব্যস্ত করব এবং তোমার অভাব মোচন করব না। -আহমাদ, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ ও হাকেম

আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা। এ প্রসঙ্গে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আলী (রা.) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি পছন্দ করে যে, তার বয়স বৃদ্ধি করা হোক, তার জীবিকা বৃদ্ধি করা হোক এবং জঘন্য মৃত্যু থেকে সে পরিত্রাণ পাক, তাহলে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে এবং আত্মীয়তার বন্ধন বজায় রাখে। -আহমাদ

আল্লাহর পথে অর্থ ব্যয় করা। আল্লাহতায়ালা বলেন, হে নবী! তাদেরকে বলো, ‘আমার রব তার বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে চান মুক্তহস্তে রিজিক দান করেন এবং যাকে চান মাপাজোখা দেন। যা কিছু তোমরা ব্যয় করে দাও তার জায়গায় তিনি তোমাদের আরও দেন, তিনি সব রিজিকদাতার চেয়ে ভালো রিজিকদাতা।’ -সূরা সাবা: ৩৯

আল্লাহর পথে হিজরত করার মাধ্যমে রিজিক বেড়ে যায়। আল্লাহতায়ালার ঘোষণা, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে হিজরত করবে, সে পৃথিবীতে বহু আশ্রয়স্থল এবং প্রাচুর্য প্রাপ্ত হবে।’ -সূরা নিসা: ১০০

দুর্বল ও অসহায় মানুষের প্রতি মমতা দেখানো।

দ্বীনি ইলম অন্বেষণে আত্মনিয়োগকারীর জন্য ব্যয় করা।

হজ ও উমরার পারস্পরিকতা তথা হজ ও উমরা পরপর আদায় করা। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) এ ব্যাপারে বলেন, হজরত আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রা.) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা হজ ও উমরা পরপর আদায় করো, কেননা উক্ত কাজ দু’টি তেমনভাবে অভাব ও পাপকে মিটিয়ে দেয়, যেমন হাপর সোনা, চাঁদি এবং লোহার মরিচাকে মিটায়। আর কবুল হজের সওয়াব হচ্ছে একমাত্র জান্নাত। -নাসাঈ ও তিরমিজি



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: