
গণপিটুনিতে মারা যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ছোট ভাই মো. শাকিরুল ইসলাম শিশির।
তিনি বলেন, আমার ভাই যদি চাঁদাবাজি করতেন, সন্ত্রাসী হতেন তাহলে তার নামে মামলা ও জিডি থাকতো। কিন্তু তার নামে কোনো থানায় মামলা ও জিডি নেই।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকেল চারটায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন শিশির।
উপস্থিত ছিলেন সোহেলের স্ত্রী নিগার সোলতানা, তার বারো মাসের শিশু সন্তান, তিন বছর বয়সী ছেলে ফায়েজ তাজোয়ার মাসরিক, বাবা আব্দুল বারি, মা ফিরোজা বেগম, বোন রাজিয়া সুলতানা, একাত্তরের ঘাতক দালার নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত বাঙালি প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে শিশির বলেন, পাহাড়তলী বাজার ও আশেপাশের এলাকাকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত করতে কাজ শুরু করার কারণে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি কখনও কারও কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেননি। তিনি রেলওয়ের একজন প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার।
ধরতিনি বলেন, আমর বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা, সোহেল ভাই আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে ছোটকাল থেকে জড়িত। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাক ও চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে শিশির বলেন, সম্প্রতি স্থানীয় এক কাউন্সিলর এবং সাবেক জামায়াত ইসলামী নেতা, যিনি বর্তমানে জাতীয় পার্টি করেন এমন এক নেতার অনৈতিক ব্যবসার আখড়া ভেঙে দেন সোহেল ভাই। এ জন্য তার প্রতি তাদের ক্ষোভ ছিলো। সেই ক্ষোভ থেকে হয়তো এই হত্যাকাণ্ড।
শিশির সাংবাদিকদের হাত জোড় করে বলেন, দয়া করে আমার ভাইকে চাঁদাবাজ লিখবেন না। তিনি কোনো চাঁদাবাজি করেননি। তিনি যদি চাঁদাবাজ হতেন, সন্ত্রাসী হতেন তাহলে তার নামে মামলা ও জিডি থাকতো। আপনারা খোঁজ নেন, সোহেল ভাইয়ের নামে কোনো থানায় মামলা-তো দূরে থাক, জিডিও নেই। তাকে পরিকল্পিত হত্যা করা হয়েছে। এর প্রমাণ তার শরীরে ২৬টি ছুরিকাঘাতের চিহৃ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: