
ডেস্ক,২২ এপ্রিল(অধিকারপত্র): বহুল প্রত্যাশিত রাজশাহী-ঢাকা বিরতিহীন ট্রেন বনলতা এক্সপ্রেসের উদ্বোধনকে ঘিরে ব্যস্ত রেলের বিভিন্ন বিভাগ।
এরই মধ্যে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা ট্রেনের ১২ বগি বুঝে পেয়েছে ঈশ্বরদী ক্যারেজ এন্ড ওয়াগন বিভাগ। বগিগুলোর পরীক্ষামূলক চলাচল, জ্বালানী, বিদ্যুৎসংযোগ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজও শেষ করেছেন তারা।
ওয়াগন বিভাগ জানায়, ট্রেনটিতে সংযুক্ত রয়েছে উড়োজাহাজের মতো বায়োটয়লেট। এ কারণে মলমূত্র আর রেললাইনের ওপরে পড়বে না। ট্রেনটিতে থাকছে রিক্লেনার চেয়ার। আছে ওয়াইফাই সুবিধা। প্রতিটি বগিতে রয়েছে এলইডি ডিসপ্লে। যার মাধ্যমে স্টেশন ও ভ্রমণের তথ্য প্রদর্শন করা হবে। কিন্তু থাকছে না শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোনো ধরনের স্লিপিং বার্থ।
রেল বিভাগের মতে, যেহেতু ট্রেনটি দিনের বেলা চলাচল করবে সে কারণে আপাতত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বার্থের দরকার পড়ছে না।
ঈশ্বরদীতে অবস্থিত রেলের ক্যারেজ এন্ড ওয়াগন বিভাগের ইনর্চাজ একেএম গোলাম হাক্কানি বলেন, মোট ১২ বগির মধ্যে মোট আসন সংখ্যা ৯৪৮টি। এরমধ্যে শোভন চেয়ারের বগি সাতটি, যার আসন সংখ্যা ৬৬৪। এসি বগি দুইটি এবং আসন সংখ্যা ১৬০। একটি পাওয়ার কারের আসন সংখ্যা ১৬টি। দুইটি গার্ডব্রেকের আসন সংখ্যা ১০৮। ট্রেনটিতে থাকছে একটি খাওয়ার বগি।
বনলতা এক্সপ্রেসের বগি নতুন হলেও ইঞ্জিন পুরাতন। ২০১৩ সালে ভারত থেকে আমদানি করা দুটি ইঞ্জিন দিয়ে চলাচল করবে ট্রেনটি। ট্রেনটির সর্ব্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ থেকে ৯৫ কিলোমিটার।
রেলের ডিজেল ও লোকমোটিভ বিভাগে ঈশ্বরদীতে দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইনচার্জ আবু উসমান বলেন, বনলতা এক্সপ্রেসে যে ইঞ্জিন দুটি ব্যবহৃত হবে সেগুলো সৈয়দপুর রেল কারখানায় রয়েছে। সোমবার ঈশ্বরদী জংশনে পৌঁছাবে। ভারত থেকে আনা এই ইঞ্জিনগুলো খুবই ভালো মানের।
বগি এবং ইঞ্জিনের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হলেও এখন অবধি নির্ধারিত হয়নি টিকিটের মূল্য। রেল বিভাগের ধারণা টিকিটের আগের দামের তুলনায় ১০ শতাংশ বাড়তে পারে। আর ২৫ এপ্রিল উদ্বোধন হলেও বাণিজ্যিক চলাচল শুরু হবে ২৭ এপ্রিল থেকে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) খোন্দকার শহিদুল ইসলাম বলেন, টিকিটের দাম নির্ধারণের কোনো সিদ্ধান্ত অফিসিয়ালি জানি না। দু-একদিনের মধ্যে বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। তবে যাত্রীদের খাবার প্যাকেট দেয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকজন কর্মকতা খাবার খেয়ে দেখেছেন। দাম অনুযায়ী খাবারের মান ভালো।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: