ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

নড়াইলের যত খবর

odhikar patra | প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০১৯ ১৫:৩১

odhikar patra
প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০১৯ ১৫:৩১

নড়াইল সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার অসিত বরণ পালের বিরূদ্ধে সিন্ডিকেট করে নিন্মমানের
বায়োমেটিক হাজিরা মেশিন ক্রয়ে বাণিজ্যের অভিযোগ
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■: (১৭ জুলাই) ২৭৪: নড়াইল সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার অসিত বরণ পালের বিরূদ্ধে
বায়োমেটিক হাজিরা মেশিন ক্রয় বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, তিনি সদরের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান
শিক্ষকদের ডেকে হুমকি দিয়ে বায়োমেটিক হাজিরা মেশিন ক্রয়ের জন্য সিন্ডিকেট তৈরী করেছেন। তিনি পছন্দের একজন ব্যবসায়ীর
নিকট হতে একান্ত ব্যক্তিগত স্বার্থে সিন্ডিকেট করে নি¤œমানের বায়োমেটিক হাজিরা মেশিন ক্রয়ে বাধ্য করছেন শিক্ষকদের।
আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান, প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ের স্বাধীন ভাবে এ মেশিন ক্রয়ের সুযোগ রয়েছে। যেহেতু
¯ি-প এর টাকা থেকে এ মেশিন ক্রয় করা হচ্ছে, সেহেতু এ মেশিন ক্রয় করার জন্য ¯ি-প কমিটিই যথেষ্ট। প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ে ¯ি-প কমিটি রয়েছে। ওই কমিটিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ঘুষখোর উপজেলা শিক্ষা অফিসার,
সহকারী শিক্ষা অফিসার ও শিক্ষক নেতাদের সমন্বয়ে ১০ সদস্যের একটি সিন্ডিকেট তাদের পছন্দের প্রতিষ্ঠান থেকে বেশি দামে ওই
মেশিন কিনতে বাধ্য করছে। নি¤œমানের ওই বায়োমেটিক হাজিরা মেশিনের বাজার ম‚ল্য ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা হলেও
সিন্ডিকেটের ধার্যকৃত ২৩ হাজার টাকায় বায়োমেটিক হাজিরা মেশিন কেনানো হচ্ছে। অতিরিক্ত যে টাকা নিচ্ছেন
দোকানদারের হাত ঘুরে তা ওই সিন্ডিকেটের নিকট পৌছে যাচ্ছে। সদর উপজেলার ১৭৫টি বিদ্যালয়ের সব গুলোতেই ২৩ হাজার টাকায়
এই মেশিন ক্রয়ের বিল ভাউচার দেয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষকদের বাধ্য করা হচ্ছে এই বিল ভাউচার সাক্ষর করতে ও মেশিন নেয়ার জন্য। শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে ঘুষখোরদের এহেন বাটপারীতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন সদর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ। প্রকাশ্যে এতোবড়
অনৈতীক কাজ করায় ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা গত ২৫ জুন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন। জেলা
প্রশাসক বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়ে মেশিন ক্রয় আপাতত বন্ধ রেখেছেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে জেলার লোহাগড়া উপজেলা
প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বিভিন্ন কোম্পানীর মেশিন মাত্র ৯ হাজার থেকে ১১ হাজার টাকায় (ভ্যাট সহ) ক্রয় করেছেন। জেলা প্রাথমিক
শিক্ষা অফিস স‚ত্রে জানা গেছে, নিয়মানুযায়ী বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকসহ ৫ সদস্যের একটি
‘¯ি-প কমিটি’ এটি ক্রয় করবে। কিন্ত সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার অসিত বরণ পাল সদরের প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে মেশিন ক্রয়ে
নিজস্ব আইন প্রয়োগ করছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষকদের জিম্মি করে তার বেধে দেয়া ২৩ হাজার টাকা দামে মেশিন কিনতে
বাধ্য করছেন। ধুরন্ধর উপজেলা শিক্ষা অফিসার অসিত বরণ পাল তার অনুগত এক চাটুকার শিক্ষককে দিয়ে যশোরের এক আইটি
প্রতিষ্ঠানের বিল ভাউচার সংশি-ষ্ট বিদ্যালয় গুলোর প্রধান শিক্ষকের নিকট পৌছে দিচ্ছেন। বিলে কোন টাকার কথা উলে-খ নেই। শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে ঘুষখোরদের এহেন বাটপারীতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন সদর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ। সৎ শিক্ষকবৃন্দ
ঘুষখোর উপজেলা শিক্ষা অফিসার অসিত বরণ পাল ও তার সহযোগিদের বিরূদ্ধে ঝাড়– মিছিল দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে গুঞ্জণ শোনা
যাচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার অসিত বরণ পালের সাথে যোগযোগ করলে নিজের পান্ডিত্য জাহির করে সর্ব বিষয়ে
পারদর্শিতা প্রকাশ করে বলেন, খুব ভালো মানের মেশিন কম দামে কিনে দেয়া হচ্ছে। শিক্ষকদের হাতে সময় কম, তারা বেশি দোকান
ঘুরতে পারবে না। তাই তাদের যশোরের একটা ভালো দোকান দেখিয়ে দেয়া হয়েছে, ভালো মানের মেশিন কেনার জন্য। তাছাড়া এ মেশিন
ক্রয়ের জন্য আলাদা করে একটি কমিটি করে দেয়া হয়েছে। কেউ কোন দ‚র্ণীতি করতে পারছে না। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■ ছবিসংযুক্ত
নড়াইল সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের পিওন ও তার স্ত্রীর বিরূদ্ধে
অবৈধ সম্পদ অর্জন দুদকের মামলা
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■: (১৭ জুলাই) ২৭৪:নড়াইলের কালিয়ার সেই সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের পিওন আসামী মো:
তরিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মিসেস নাসরিন বেগমের নামে বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে ‘অসামজ্ঞস্যপ‚র্ণ সম্পদ অর্জন ও
মানিলন্ডারিং’ দায়ে দুদক মামলা হয়েছে। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান, মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) যশোর বিজ্ঞ
সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত নড়াইল এর অধিক্ষেত্রাধীনে একটি মামলা করেন মামলার তদন্তকারি দুদক কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম মোড়ল।
মামলা নং-১/২০১৯। মো: তরিকুল ইসলাম, নড়াইলের কালিয়া সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের সাবেক অফিস সহায়ক, বর্তমানে নড়াইল সদর
সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের অফিস সহায়ক। সে নড়াইলের নড়াগাতী থানার গাছবাড়িয়া গ্রামের শাহাদাৎ মুন্সির ছেলে। মামলায় উলে-খ্য
করা হয়েছে, আসামী মো: তরিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মিসেস নাসরিন বেগম কর্তৃক পরস্পরের সহায়তায় ১৬,৫২,৪৩৩.০০ টাকার
জ্ঞাত আয়ের সাথে অসামজ্ঞস্যপ‚র্ণ সম্পদ অর্জন করে স্থানান্তর, রূপান্তর করে এবং তা দুদককে গোপন করে দখলে রাখার অপরাধে তাদের
বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬(২), ২৭(১) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪ (২) ধারাসহ দঃ বিঃ ১০৯
ধারায় আপনার কার্যালয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত, নড়াইল এর অধিক্ষেত্রাধীনে এ মামলা হয়। উলে-খ্য, তরিকুল ইসলাম ২০০১
সালের ৫ সেপ্টেম্বর নড়াইল জেলা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে নাইটগার্ড পদে যোগদান করেন। এরপর ২০০৩ সালের ৮ ফেব্রুয়ারী স্কেলে
পিয়ন পদে পদোন্নতি পান। একই পদে ২০০৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি নড়াইলের কালিয়ায় বদলী হন। নড়াইলের কালিয়া অফিসে যোগদানের
পর থেকেই শুরু হয় তরিকুলের অবৈধ আয় বাণিজ্য। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■ নড়াইলে চলছে পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযান বিপুল পরিমান
ইয়াবা,গাঁজাসহ গ্রেফতার-১৭
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■: (১৭ জুলাই) ২৭৪: নড়াইলে চলছে মাদক বিরোধী অভিযান বিপুল পরিমান ইয়াবা ও গাঁজাসহ
গ্রেফতার-১৭ জন, জিআর মামলা ১ জন অন্যান মামলায় ১২ জন মাদক মামলায় ৪ জন মোট গ্রেফতার ১৭ জন সদর ১৩ জন, নড়াইলের
লোহাগড়া ৩ জন, নড়াইলের কালিয়া ১ জন ৩৮৭ ইয়াবা পিস ২৫০ গাঁজা গ্রাম নড়াইল জেলার প্রতিটা রোডে চলছে চেকিং। আমাদের
দেশে মাদকদ্রব্য আসার একটা প্রধান নড়াইল যশোর সড়ক। নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম (বার), আমাদের
নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়কে জানান, নড়াইল জেলাকে মাদকমুক্ত করতে আমাদের প্রতিটি থানাসহ গোয়েন্দা শাখার সদস্যরাও
কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল থেকে চলমান মাদক বিরোধী অভিযানে মোট ১৭ জনকে বিভিন্ন প্রকার মাদকসহ
গ্রেফতার করা হয়েছে। নড়াইলে মাদক বিরোধী অভিযান চলাকালে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সেই সাথে ইয়াবা গাঁজা ও
মাদকব্যবসায়ের সাথে জড়িত দের চিহ্নিতপূর্বক অচিরেই আইনের আওতায় আনা হবে। প্রতিদিন কমবেশি মাদকদ্রব্য বহনকারী
গাড়ি ও এর কিছু কিছু হোতা ধরা পড়ছে। তিনি আরও বলেন এ অভিযান প্রতিদিন চলবে। নড়াইল জেলাকে মাদকমুক্ত করবো

নশাআল-াহ। প্রতিদিন আমাদের দেশে ঢুকছে মাদকদ্রব্য। নড়াইলের সাধারণ জনগণ মনে করেন পুলিশের এ অভিযান চলতে থাকলে হয়ত
এটা নিম‚ল সম্ভব। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■ নড়াইলে সরকারী এ্যাম্বুলেন্স বিকল দেখিয়ে অতিরিক্ত ভাড়ায়
রোগি পরিবহন করান অভিযোগ
উজ্জ্বল রায় নিজস্ব প্রতিবেদক■: (১৭ জুলাই) ২৭৪: নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে-ক্সের এ্যাম্বুলেন্স চালক খায়রুল ইসলামের
বিরূদ্ধে দ‚র্ণীতি অনিয়ম ও ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, এ্যাম্বুলেন্স চালক খায়রুল ইসলাম রোগি পরিবহনের
ক্ষেত্রে রোগি ও তার স্বজনদের নিকট হতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন। যাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ নিতে পারবেনা না, তাদেরকে বলে
দেন এ্যাম্বুলেন্স নষ্ট। অথচ ওই সময়ই অবৈধ সুবিধা নিয়ে অন্য রোগিদের নিয়ে চলে যান। রোগি বহনের কোন নিয়ম নীতির
তোয়াক্কা করেন না। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান, ভাড়ার বিপরীতে রশিদ দেয়ার কথা থাকলেও তিনি কাউকে রশিদ
দেন না। হাসপাতালের পুরাতন ২টি এ্যাম্বুলেন্সের যন্ত্রাংশ খুলে বিক্রি করে দিয়েছেন। এ অপকর্মের দোষটাও তিনি অন্যের উপর চাপাতে
চেষ্টা করেন। এ সংক্রান্ত ব্যাপারে তার বিরূদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের পর্যন্ত হয়। যার উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমান মেলার পর ক্ষমা চেয়ে পার পান।
তবে সাক্ষিদের উপর তিনি মারাতœক ক্ষুব্ধ। এ্যামবুলেন্সের নতুন ইঞ্জিন খুলে বিক্রি করে কম দামে পুরাতন ইঞ্জিন কিনে লাগিয়েছেন
বলে গুঞ্জণ রয়েছে। বেনামে তার ২ টি গাড়ী রয়েছে। সরকারি এ্যাম্বুলেন্স বিকল দেখিয়ে ওই গাড়ী ২টিতে অতিরিক্ত ভাড়ায় রোগি
পরিবহন করান। এক সময় তার গাড়ী জঙ্গিদের পরিবহনের অভিযোগে জব্দ করা হয়। তার মালিকানার ঢাকা মেট্রো-শ-১১-০১৮২ এবং ঢাকা
মেট্রো-শ-১১-০৫৭৬ গাড়ী ২টি দীর্ঘ দিন আল-মারকাজুল ইসলাম এর নানা কাজে ব্যবহার হয়েছে বলে জোর অভিযোগ রয়েছে। গাড়ী
২টি লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে-ক্সের আশপাশ এলাকায় রাখা হয়। সরকারি এ্যাম্বুলেন্স বসিয়ে রেখে ওই গাড়ী ভাড়া খাটান। তার
বিরূদ্ধে জঙ্গিদের সাথে সখ্যতার অভিযোগ রয়েছে। এমনকি কুখ্যাত জঙ্গি আবু জান্দাল তার ঘনিষ্টজন বলে অনেকেই জানিয়েছেন।
স্থানীয় মাদকাসক্ত সন্ত্রাসীদের সাথে তার বেশির ভাগ সময় কাটে। কেউ তার কোন অপরাধের প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে ওই
সন্ত্রাসীদের দিয়ে সায়েস্তা করেন। অতিরিক্ত টাকা না দিলে রোগি ও রোগির স্বজনদের সাথে অসৌজন্যম‚লক আচরন করেন। তার অন্যায়
অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার কারনে স্বাস্থ্য কমপে-ক্স্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অতিষ্ট। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নম‚লক কর্মকান্ড নিয়ে হাসি রহস্য করে। সরকারি দলের উচ্চ পর্যায়ের এমপি.মন্ত্রী ও নেতাদের নিয়ে ব্যাঙ্গাতক মন্তব্য করেন। সচেতন মহল তাকে অন্যত্র বদলি ক



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: