
সিরাজদিখানে সার্জেন্টের মারধরের
শিকার আরএফএল কর্মকর্তা, টাকার
বিনিময়ে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা
সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে আর.এফ.এলের এক কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ
পাওয়া গেছে হাসাড়া হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট শামীমের বিরুদ্ধে। ওই
সার্জেন্টের থাপ্পরে এখন কানে শুনেন না ওই আর.এফ.এল কর্মকর্তা। ঘটনাটি
ঘটেছে ২৩জুলাই মঙ্গলবার রাত ৯টায় সুখের ঠিকানা হাসাড়া হাইওয়ে থানার
সামনের একটি দোকানের সামনে। আরএফএল কর্মকর্তা তুহিন জানান,
কোম্পানীর সফ্টওয়্যারে পাঠানোর জন্য সে কর্মস্থল ত্যাগ করার পূর্বে ওই
স্থানের একটি ছবি তোলেন, তাতে সার্জেন্ট শামীম ছিলেন। তিনি জানতেন
না যে তিনি সার্জেন্ট বা পুলিশ কর্মকর্তা। কোম্পানীর জন্য ছবি তুলে
সার্জেন্টের রোষানলে (এসআর, আরএফএল) তুহিন। অভিযোগ উঠেছে
সিরাজদিখান উপজেলার সাংবাদিকদের মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে
তুহিনকে নিয়ে জোর করে বিষয়টির রফাদফা করেছেন সার্জেন্ট শামীম ও
হাসাড়া থানার ওসি।
তুহিন অভিযোগ করে বলেন, দিন শেষে কাজের সমাপ্তির পূর্বে ছবি
নিয়েছেন দোকানের। এই ছবি কেন তুলেছেন তাকে কিছু জিজ্ঞাসা না
করেই ডেকে এনে এলোপাথারি কিলঘুষি ও থাপ্পড় দিলেন। কিছু বুঝে উঠার
আগেই তাকে বহেরা বানিয়ে ফেললেন পুলিশ কর্মকর্তা। পরবর্তীতে তার কাছ
থেকে মোবাইল কেড়ে নেন। ছুবি খুজতে থাকেন কিন্তু মোবাইলের কোথাও
ছবি না পেয়ে আরো ক্ষেপে যান তিনি। সার্জেন্ট শামীম আরএফএলের
কর্মকর্তাকে ছবি বের করতে বলেন। কিন্তু ছবি তো সফ্টওয়্যারে চলে গেছে।
এই ছবি তো মোবাইলের কোন মেমোরীতে থাকে না।
হাসাড়া হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট শামীম সিরাজদিখান উপজেলার নয়াদিগন্তের
প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান লিংকনকে ডেকে জানিয়েছেন যে, সাংবাদিক
ফোন দিয়ে বক্তব্য নিয়েছে সে লিংকন পরিচয় দিয়েছে। পরবর্তীতে জেলা
প্রতিনিধি ও উপজেলা প্রতিনিধির মধ্যে একটা ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে বিষয়টি
গুলিয়ে সিরাজদিখান উপজেলার কয়েকজন সাংবাদিককে নিয়ে টাকার বিনিময়ে
বিষয়টি রফাদফা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ঘটনাস্থলের লোদাকনদার প্রিন্স নাদিম জানান, আরএফএলের অফিসার
ছুবি তুলেছেন সাথে সাথে ভিতর থেকে পুলিশ কর্মকর্তা তাকে ডেকে চড়
থাপ্পড় দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে ডান কানে এমনভাবে লাগে তার কান দিয়ে
সাথে সাথে রক্ত বের হয়ে গেছে। এখনো কান দিয়ে রক্ত পড়ছে। তাতে মনে হচ্ছিল
ডান কানে সমস্যা হয়ে গেছে।
হাসাড়া হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট শামীম জানান, কাউকে না বলেই ছুবি
তোলে তুহিন। পরবর্তীতে ছবির কথা জিজ্ঞেস করলে সে আমাকে ছবি দেখাতে
পারেনি। পরবর্তীতে সফ্টওয়্যারে ছবি দিয়েছে তাই সে দেখিয়েছে। তাকে
আমি মারধর বা থাপ্পর দেয়নি।
হাসাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিষয়টি সম্পর্কে অবগতন নন। সে
তুহিনকে তার সাথে দেখা করার জন্য বলেছেন।
আরএফএল কোম্পানীর এসআর তুহিন ০১৯৬৬৯৬৫১০৬ এই নাম্বারে বর্তমানে
ফোন দিলে তিনি আর রিসিভ করছেন না।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: