ঢাকা | মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২
শেখ হাসিনার নির্দেশ

অনতিবিলম্বে ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেওয়ার জন্য

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:৩৬

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:৩৬

ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেবার নির্দেশ শেখ হাসিনা

ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতাদের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দিতে বলেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দলের স্থানীয় সরকার ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।

ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড এবং অযোগ্যতার কারণে এ কমিটি ভেঙে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। যৌথসভায় উপস্থিত আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আওয়ামী লীগের ওই নেতারা জানান, বিভিন্ন মাধ্যমে ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ পেয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আর তাতে ছাত্রলীগের বর্তমান শীর্ষ নেতাদের ওপর তিনি ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়ে কমিটি ভেঙে দিতে বলেছেন।

সূত্র জানায়, রংপুর-৩ এর উপ-নির্বাচন এবং কয়েকটি উপজেলার প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে আয়োজিত এ বৈঠকে ছাত্রলীগের প্রসঙ্গ তোলেন স্বয়ং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

গোয়েন্দা সংস্থা ও অন্যান্য সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। বিশেষ করে তারা দুপুরের আগে ঘুম থেকে ওঠে না।

এ সময় মনোনয়ন বোর্ডের অন্যান্য সদস্যরাও আলোচনায় অংশ নেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলনে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সকাল ১১টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত অপেক্ষা করা, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে পৌঁছানোর পর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের অনুষ্ঠানে যাওয়া এবং সিনিয়র নেতা তোফায়েল আহমেদকে প্রধান অতিথি করে আয়োজন করা ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে একই ধরনের অপর একটি ঘটনার কথা এ সময় উঠে আসে।

এছাড়া সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের মধুর ক্যান্টিনে মাঝে-মধ্যেই অনুপস্থিত থাকা, ছাত্রলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে বিবাহিত হওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার বিষয়গুলো নিয়েও কথা বলেন নেতারা।

সূত্রমতে, অন্তত: দশ মিনিট ধরে ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে এ সভায় আলোচনা হয়। এরপর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা কমিটি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেন।

এ দিকে সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গণভবনে অপেক্ষা করছিলেন বলে জানা গেছে। আওয়ামী লীগের দুজন জ্যেষ্ঠ নেতা তাঁদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা না করার পরামর্শ দিলেও তাঁরা যাননি। পরে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাঁদের চলে যেতে বললে তাঁরা গণভবন থেকে চলে আসেন।

 DBC news 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: