__17_sep_2019-2019-09-17-23-07-12.jpg)
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের দুটি গ্রামের নাম
বেড়েরবাড়ী ও ভস্তা। গ্রাম দুটির প্রবেশমুখেই বহমান খালের ওপর
একটি করে কালভার্ট রয়েছে। কিন্তু কালভার্টের অর্ধেক অংশ ভেঙ্গে
খালের সঙ্গে মিশে গেছে। ফলে ওই গ্রাম দুটির মানুষের চলাচলের
একমাত্র সড়কটি ভাঙা কালভার্টের কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায়
চরম ভোগান্তী পোহাচ্ছে গ্রামবাসী। এ কারনে বাঁকা পথে
জমির আইল (আঞ্চলিক ভাষা) দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে সে গ্রামের
মানুষগুলোকে। শুধু তাই নয় পাশর্^বর্তি ভিটারচড়া, বোয়ালমারি ও
গজারিয়া-নলডিঙ্গি গ্রামের মানুষেরাও ওই রাস্তা দিয়ে শহরে
যাতায়াত করে। তাছাড়া কৃষিনির্ভর গ্রামগুলোর সিংহভাগ মানুষ
তাদের উৎপাদিত রকমারি কৃষিপণ্য নিয়ে বাজারে যেতে পারছেন না। পাশাপাশি কোমলমতি শিক্ষার্থী ও বয়স্ক মানুষের চলাচলও
কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। ওই রাস্তায় সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক
চলাচল ব্যহত হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সেদিকে কোন নজর নেই।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের
সীমান্তবর্তী গ্রাম বেড়েরবাড়ী ও ভস্তা। গ্রামের চারপাশ দিয়ে
বয়ে গেছে খাল ও বিল। আদিকাল থেকেই গ্রামের বসবাসরত মানুষ
কৃষি কাজের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। বর্তমানে
শিক্ষা ও ব্যবসা বাণিজ্যে উন্নতিতে কিছুটা পরিবর্তনের
ছোঁয়া লেগেছে ওই গ্রামের মানুষদের। তবে কৃষি সমৃদ্ধ
গ্রামটির মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটলেও যোগাযোগ ব্যবস্থার
কোন পরিবর্তন হয়নি। সেজন্য ব্যহত সহচ্ছে স্বাভাবিক
কাজকর্ম।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, পার্শ¦বর্তী গ্রাম শুভগাছা
জাঙ্গাল পাড়া থেকে বেড়ের বাড়ী গ্রামের পশ্চিমপার্শের প্রবেশ
মুখের কালভার্টটির অর্ধেক পরিমাণ ভেঙ্গে খালের সঙ্গে মিশে পড়ে
রয়েছে। ফলে এই গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়কের ওই ভাঙা
কালভার্ট দীর্ঘদিনেও মেরামত বা সংস্কার করা হয়নি। কর্তৃপক্ষের
উদাসীনতা আর অবহেলার কারণে ভাঙা কালভার্টটি সংস্কার না
করায় সড়কটি চলাচলের অনুপোযী হয়ে পড়েছে। একই অবস্থা
শুভগাছা বাজার থেকে পূর্বদিকে ভস্তা গ্রামে রাস্তার উপরের
কালভার্টটির। অর্ধেকের বেশি অংশ ভেঙ্গে যাওয়ায় চরম
ভোগান্তিতে পরেছে ওই এলাকার লোকজনেরা। কালভার্টে প্রায়ই
ঘটছে ছোট ছোট দুর্ঘটনা।
হানিফ উদ্দিন ও শাহ আলম নামের কৃষক বলেন, কয়েক বছর হলো
কালভার্টটি ভেঙ্গে পড়ে আছে। ফলে সবজি, ভুট্রা, ধানসহ
যাবতীয় ফসলাদি বিক্রি করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন। এমনিতেই
কাচা রাস্তা। তারপর কালভার্ট ভাঙা। গাড়ী ও মালামালের ক্ষতির ভয়ে
কেউ ঝুঁকি নিতে চাচ্ছে না। তারা অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয়
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গুরুত্ব দিলে কালভার্টটি অনেক
আগেই মেরামত করা সম্ভব হতো। কিন্তু এ বিষয়ে তার গুরুত্ব নেই
বললেই চলে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অত্র খামারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের
চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব জানান, দেশ স্বাধীনের অনেক আগেই ওই
গ্রামের পশ্চিম পার্শ্বে খালের ওপর কালভার্ট গুলো নির্মাণ করা
হয়েছিল। এরপর আর কোনদিন মেরামতের কাজ করা হয়নি।ইতিমধ্যেই বেড়েরবাড়ী গ্রামের ওই কালভার্টটির টেন্ডার হয়ে
গেছে। এরইমধ্যে নির্ধারিত ঠিকাদারকে কালভার্টটির কাজ
বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকার কারণে
কাজ শুরু করতে পারেননি। আশা করছি দ্রæততম সময়ের মধ্যে
কালভার্টটির সংস্কার কাজ শুরু হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: