ঢাকা | শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

বুয়েটে স্থায়ীভাবে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০১৯ ২১:১৪

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০১৯ ২১:১৪

 

বুয়েটে স্থায়ীভাবে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ
বুয়েট অডিটোরিয়ামে শিক্ষার্থীরা। ছবি: আব্দুল গনি
 

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) সব ধরণের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে উপাচার্য ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সঙ্গে আবরার হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত বুয়েটের ১৯ জন ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয়।

এর আগে আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে প্রতিদিনের মতো সকাল থেকে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিল শেষে পলাশী থেকে বকশীবাজার সড়ক বন্ধ করে স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় শিক্ষার্থীরা খুনিদের ফাঁসি চান।

এরপর বিকাল সোয়া ৫টায় বুয়েট কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে উপস্থিত হন উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। অডিটোরিয়ামে শিক্ষার্থী ও সংবাদকর্মীরা উপস্থিত হন। আলোচনার শুরুতে আবরারের রুহের মাগফিরাত কামনায় ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

 
বুয়েটে স্থায়ীভাবে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করেন ভিসি। ছবি: আব্দুল গনি

আবরারের খুনিদের ফাঁসিসহ শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবি নিয়ে শুধু বুয়েটের বর্তমান শিক্ষার্থীদের (১৫তম, ১৬তম, ১৭তম ও ১৮তম ব্যাচ) সঙ্গে আলোচনায় বসেন উপাচার্য। এর আগে গণমাধ্যমের সামনে আলোচনা করতে রাজি না হলেও অনেক আলোচনা ও আন্দোলনের পর গণমাধ্যমের সামনে আলোচনা করতে রাজি হয়েছেন উপাচার্য। তবে আলোচনা সভা সরাসরি সম্প্রচার না করার শর্ত জুড়ে দিয়েছেন উপাচার্য।

উল্লেখ্য, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় খুন হন বুয়েটের তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদ। রবিবার রাতে তাকে শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটান বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। নির্মম পিটুনিতে আবরার লুটিয়ে পড়েন। এরপর নিথর দেহ টেনেহিঁচড়ে নিচে নামানোর চেষ্টা করেন ঘাতকরা। পরে বুয়েটের চিকিৎসক এসে আবরারকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে সারাদেশ। চলে ব্যাপক বিক্ষোভ।

ইত্তেফাক

 


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: