ঢাকা | মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২

শেখ হাসিনা ভয়কে জয় করে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন : ওবায়দুল কাদের

odhikar patra | প্রকাশিত: ৯ নভেম্বর ২০১৯ ১৭:৩৩

odhikar patra
প্রকাশিত: ৯ নভেম্বর ২০১৯ ১৭:৩৩

ঢাকা, ৯ নভেম্বর, ২০১৯ শনিবার : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন ।
তিনি বলেন, ‘ভয়কে জয় করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য, পিতার মতই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আসুন আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশেকে এগিয়ে নিয়ে যাই।’
ওবায়দুল কাদের আজ শনিবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় শ্রমিক লীগের ১৩তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এই আহবান জানান।
সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন। আর এই শুদ্ধি অভিযান তিনি নিজ ঘর থেকেই শুরু করেছেন। বাংলাদেশে কেউ যে এই ধরনের দুঃসাহস দেখাতে পারেন তা করে দেখিয়েছেন আমাদের প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা। আর এই কারণেই তিনি সারা বিশ্বে সমাদৃত।’
তিনি বলেন, গত ৪৪ বছরে সবচেয়ে সফল সরকার প্রধান শেখ হাসিনার সরকার। সবচেয়ে সৎ ব্যক্তি, জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ, বিচক্ষণ নেতা, দক্ষ প্রশাসক, সফল কূটনীতিকের নাম শেখ হাসিনা। যার উন্নয়ন অর্জন শুধু এ দেশে নয়, সারা বিশ্বে সমাদৃত।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শত বাধার মধ্য দিয়ে ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসেছিলেন বলেই যুদ্ধাপরাধীর বিচার, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার করে বাংলাদেশকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা শুধু রাজনীতিবিদই নন, তিনি পরবর্তী জেনারেশন নিয়েও ভাবেন। আর এই জন্যই তিনি ভিশন ২০২১ ঘোষণা করেছেন।
শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদের সভাপতিত্বে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো জোহানেস পউটিয়ানে, আইটিইউসি-এপির জেনারেল সেক্রেটারি শোয়া ইয়োশিদা ও সার টুক এর জেনারেল সেক্রেটারি লক্ষণ বাহাদুর বাসনেট বক্তব্য রাখেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী ও আব্দুল মতিন খসরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও এনামুল হক শামীম, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা মির্জা আজম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল ১০টা ৪২ মিনিটে শ্রমিক লীগের ১৩তম জাতীয় সম্মেলন শুরু হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
সম্মেলন উপলক্ষে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তেলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শ্রমিক লীগের দলীয় পতাকা উত্তেলন করেন সংগঠনটির সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ।
ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠীর পরিবেশনায় এ সময় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। পরে শিল্পী ফকির আলমগীরের নেতৃত্বে এই শিল্পী গোষ্ঠীর শিল্পিরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। এরপরই বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়।
শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন সংগঠনের কার্যকরি সভাপতি ফজলুল হক মন্টু।
শ্রমিক লীগের প্রয়াত সব নেতা-কর্মীসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্টের সব শহীদ, মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদ এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
সারাদেশের ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার প্রায় ৮ হাজার কাউন্সিলর এবং ডেলিগেট সম্মেলনে যোগ দেন।
১৯৬৯ সালের ১২ অক্টোবর দেশের সর্ববৃহৎ শ্রমিক সংগঠন জাতীয় শ্রমিক লীগ প্রতিষ্ঠা করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
সর্বশেষ ২০১২ সালের ১৯ জুলাই জাতীয় শ্রমিক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। শুক্কুর মাহমুদ সভাপতি এবং সিরাজুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: