-2019-11-09-21-14-46.jpeg)
আগামী সোমবার অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন এবং পরশু মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা মহানগর উত্তরের সম্মেলন। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনকে সামনে রেখে ত্যাগী ও পরীক্ষিত সাবেক ছাত্রনেতাদের নেতৃত্বের লড়াই চলছে। দুই মহানগরের হাল ধরতে শেষ মূহুর্তে দৌড়ঝাপ অব্যাহত রেখেছেন পদপ্রত্যাশী নেতারা। তবে ক্যাসিনোকান্ড, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডের সাথে জড়িত নেতাদের কমিটিতে ঠাই হচ্ছে না বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ইতোমধ্যে কৃষক লীগ এবং জাতীয় শ্রমিক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।ওই সম্মেলনে বিতর্কিত নেতাদের বাদ দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগে বিতর্কিত নেতাদের বাদ দিয়ে ক্লিন ইমেজ, পরিচ্ছন্ন, ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের শীর্ষ নেতৃত্বে তুলে আনার চিন্তা আছে আওয়ামী লীগ হাইকমান্ডের। ইতোমধ্যে মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের পদপ্রত্যাশী নেতাদের বিষয়ে আওয়ামী লীগ প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন মাধ্যমে খোজ খবর নিয়েছেন।তালিকাও যাচাই বাছাই করার কাজটি সম্পন্ন হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, মহানগর দক্ষিণে শীর্ষ পদে আলোচনায় আছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, বৃহত্তর লালবাগ থানা ছাএলীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সাগর আহমেদ শাহীন, মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ হাওলাদার, মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ইরানসহ ডজনখানেক নেতা। এরমধ্যে কামরুল হাসান রিপন ২০০১ সালে বিএনপি জোটের শাসনামলে অনেক হামলা মামলা শিকার হয়েছিলেন। ওয়ান ইলেভেনের সময় আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে ছাত্রনেতা হিসেবে ওইসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের শাসনামালে ছাত্রলীগের রাজনীতি করার জন্য আমাকে ১৬টি মামলা দেয়া হয়েছিল। অনেক হামলার শিকার হয়েছি। ওয়ান ইলেভেন’র সময় নির্যাতনের শিকার হয়েছি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করছেন- এতে আমার স্বাগত জানাই। এই শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে আগামীতে দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ ও ক্লিন ইমেজের নেতৃত্ব উঠে আসবে।নেত্রী সব সময় ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করেন। আশা করি, আগামী সম্মেলনেও নেত্রী ত্যাগী ছাত্রনেতাদের মূল্যায়ণ করবেন।
বৃহত্তর লালবাগ থানা ছাএলীগের সাবেক সভাপতি সাগর আহমেদ শাহীন বলেন বিরোধী সময় দলের জন্য গুলি খেয়েছি, জেল খেটেছি প্রানপ্রিয় নেত্রীর জন্য অনেক জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি, নেএী যেখানে রাখবে সানন্দে মেনে নেব।
মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ হাওলাদার বলেন, সব সময় স্বচ্ছ রাজনীতি করেছি।সংগঠনের সকল তৃণমুল ত্যাগী ও পরিচ্ছন্ন নেতাকর্মীদেরও প্রত্যাশা, সংগঠনের কার্যক্রমকে আরোও গতিশীল করতে সৎ, শিক্ষিত, সাবেক ছাত্রনেতা, ত্যাগী ও পরিশ্রমীদের মধ্যে থেকে আগামী সম্মেলনে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হোক।তাহলেই সংগঠন আরো গতিশীল, প্রাণবন্ত ও উজ্জীবিত হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল ওয়াহিদ মিন্টু সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। তিনি বলেন, নেত্রী শেখ হাসিনা গ্রেফতার হওয়ার পর তার মুক্তির দাবিতে প্রথম মহাখালীতে মিছিলে নেতৃত্ব দেই। তাই নেত্রী যে পদে চাইবেন, সেখানে থাকবো।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ২০০১ সালে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলার মিথ্যা মামলায় পুলিশি নির্যাতনে মাদারীপুর ছেড়ে ঢাকা আসেন। ২০০২ সালে মিছিল করতে গিয়ে ক্রীড়া ভবনের সামনে থেকে গ্রেফতার হন। তিনি বলেন, মাদারীপুর জেলার ওয়ার্ড পর্যায় থেকে রাজনীতিটা করে আসছি।এখনও করছি। ১/১১’র সময়ে নেত্রীর মুক্তির জন্য রাত-দিন বাহাউদ্দিন নাছিম ভাইয়ের নেতৃত্বে মাঠে ছিলাম। দলের দুর্দিনে সক্রিয়ভাবে সব সময় পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। কখনো হাল ছাড়েনি।এখনো মাঠে রয়েছি।নেত্রী যখনই ডাকবেন, তখনই আমরা হাজির হবো।মহানগর দক্ষিণে নেত্রী তার ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের দায়িত্ব দিয়ে মূল্যায়ন করবেন এই প্রত্যাশা করছি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: