odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Wednesday, 5th November 2025, ৫th November ২০২৫

ইয়াবা ব্যবসায়ীদের প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

Admin 1 | প্রকাশিত: ৭ May ২০১৭ ০৯:৩২

Admin 1
প্রকাশিত: ৭ May ২০১৭ ০৯:৩২

কক্সবাজারের একটা বদনাম আছে, এখান থেকে নাকি ইয়াবা পাচার হয়। ইয়াবা পাচার বন্ধ করুন। যারা ইয়াবা পাচারে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করতে হবে। তারা যত শক্তিশালী হোক, ছাড় দেওয়া হবে না। কারণ তারা দেশের জন্য অভিশাপ।

আজ শনিবার বিকেলে কক্সবাজার সৈকতের লাবণি পয়েন্ট-সংলগ্ন ‘শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে’ দলীয় জনসভায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

ইয়াবা ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ার করে শেখ হাসিনা বলেন, মাদক মানুষকে ধ্বংস করে। সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। মাদকদ্রব্য থেকে সন্তানদের দূরে রাখার বিষয়ে মা-বাবাকে সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদকে রুখে দিতে হবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষের দল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে আমরা কাজ করি। আওয়ামী লীগের সময়ে কোনো মানুষ নিঃস্ব থাকবে না। কেউ গৃহহারা হবে না। আমরা প্রত্যেক মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে চলেছি। নিঃস্ব মানুষদের মাথা গোঁজার ঠাঁই করতে ‘গুচ্ছগ্রাম’ তৈরি করছি। আশ্রয়হীনদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, নৌকায় ভোট দিলে উন্নয়ন হয়। মানুষের ভাগ্য খুলে যায়। আওয়ামী লীগের মেগা উন্নয়নকর্মে দেশ এগিয়ে যায়। শূন্য অবস্থায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতা নিলেও আজ দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল মোস্তফার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী ৫০ মিনিট ভাষণ দেন। এ সময় কক্সবাজারসহ পুরো দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরেন। শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি লুটের সরকার। খুনের সরকার। তাদের সময়ে খুন-গুম ছাড়া কোনো উন্নয়ন হয়নি। মানুষের জন্য তারা কোনো কাজই করেনি। তারা আজ প্রত্যাখ্যাত।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি দুর্দিনেও নাই উন্নয়নেও নাই। কিন্তু আমি আপনাদের সামনে খালি হাতে আসিনি। অনেক প্রকল্প নিয়ে এসেছি। উপহার এনেছি। যে কাজগুলো ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, সেগুলো উদ্বোধন করেছি। যেগুলো করব, সেগুলোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু এখানে পর্যটক আসে, সেহেতু তাদের যাতায়াতের জন্য বিমান নিয়ে এসেছি। এই বিমান আজ কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রথম অবতরণ করল। আমি এই বিমানের মাধ্যমে এখানে আন্তর্জাতিক রুট পরিচালনার ঘোষণা দিলাম।’

জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, কক্সবাজারের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, সাইমুম সরওয়ার কমল, আবদুর রহমান বদি, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী, রেজাউল করিম, আবু তালেব প্রমুখ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: