odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Thursday, 6th November 2025, ৬th November ২০২৫

শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে বুঝবেন কিভাবে

odhikarpatra | প্রকাশিত: ১ June ২০২২ ০৭:০৩

odhikarpatra
প্রকাশিত: ১ June ২০২২ ০৭:০৩

কোলেস্টেরলের কথা শুনলেই আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। কিন্তু শরীরে কোলেস্টেরল থাকলেই যে বিপদ, এমন কিন্তু নয়। ভালো আর খারাপ দুই ধরনের কোলেস্টেরলের মধ্যে ভালো কোলেস্টেরলই আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়। তবে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে তা অবশ্যই চিন্তার বিষয়।

শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে একটু জোরে হাঁটাহাঁটি করলে বা সিঁড়ি ভাঙলেই হাঁপিয়ে উঠি আমরা। যাকে সাধারণত আমরা কোনো সমস্যা মনে করি না। কিংবা মনে করি এমনটা তো হতেই পারে। কিন্তু যদি অল্পতেই এমন হয় তাহলে বুঝতে হবে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেছে। 

শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে, তা একটি দরজার মতো কাজ করে। যে দরজা দিয়ে অনায়াসেই ঢুকে পড়ে আরও অনেক রোগ। তাই প্রথম দিকেই শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারলে শরীরে নানা রোগব্যাধি বাসা বাঁধতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ, ওবেসিটি তো বটেই, কোলেস্টেরলের হাত ধরে হৃদ্‌যন্ত্রেও ক্ষতি হতে পারে। তাই খারাপ কোলেস্টেরলকে অবহেলা করলে তার ফলও খুব একটা সুখকর হবে না।
 

অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনে রাশ টেনে সুশৃঙ্খলিত জীবনযাপনের অভ্যাস গড়ে তোলার পাশাপাশি একটি সঠিক ডায়েট লিস্ট অনুসরণ করে সহজেই শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। তবে তার আগে জানতে হবে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার লক্ষণগুলো সম্পর্কে। 
যদিও শরীরে কোলেস্টেরলে মাত্রা বাড়লে কোনো উপসর্গ দেখে তা বোঝার উপায় থাকে না। তবে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে শরীরে কিছু পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। উচ্চ কোলেস্টেরল ধমনির ওপর চাপ তৈরি করে। যার থেকে ‘পেরিফেরাল আর্টারিয়াল ডিজিজ’-এর ঝুঁকি বেড়ে যায়। এই প্রকার রোগে ধমনিগুলো সরু হয়ে যায়। ফলে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত ঠিকমতো পৌঁছাতে পারে না। ফলে শরীরের বিভিন্ন গাঁটে যন্ত্রণা শুরু হয়।

যেসব লক্ষণে বুঝা যায় শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে

১. কোলেস্টেরল খুব বেড়ে গেলে পায়ের টেন্ডন লিগামেন্টগুলোতে প্রভাব পড়ে। এ ক্ষেত্রে পায়ের ধমনিগুলো সরু হয়ে গেলে পায়ের নিচের অংশ অনেকটা অক্সিজেনসহ রক্ত পৌঁছাতে পারে না। তাতে পা ভারী হয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ে সহজেই। পায়ের অসম্ভব যন্ত্রণা শুরু হয়। উরু বা হাঁটুর নিচে পেছনের দিকে ব্যথা হতে পারে। হাঁটার সময়েই এই ধরনের ব্যথা বাড়ে।
 

২. একই কারণে ঘাড় ও হাতের সংযোগস্থলেও ব্যথা হয়। মাঝেমাঝে এমন ব্যথায় আমরা নজেহাল হই। খুব ঘন ঘন একই স্থানে ব্যথা হলে একটু সতর্ক থাকুন।

৩. নিতম্বেও ব্যথা হওয়া উচ্চ কোলেস্টেরলের লক্ষণ হতে পারে। যদি মাঝে মাঝেই নিতম্বে ব্যথা হয় তা হলে কিন্তু সেই লক্ষণ ভালো নয়। এই সব লক্ষণ দেখা দিলে এক বার রক্ত পরীক্ষা করে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা দেখে নেওয়া জরুরি।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: