ঢাকা | শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

জামায়াতের সঙ্গে নতুন জঙ্গি সংগঠনের সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখছে সিটিটিসি

odhikarpatra | প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০২২ ০৮:৪১

odhikarpatra
প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০২২ ০৮:৪১

 নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ ও সিটিটিসি প্রধান কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান। 

বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, নতুন এই জঙ্গি সংগঠনের সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক ডা. রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. মো. শফিকুর রহমানের ছেলে। পিতার সংগঠনের (জামায়াত) কোনো নির্দেশনা ছিল কি না বা তাদের নির্দেশে নতুন এই জঙ্গি সংগঠনে যুক্ত হয়েছিলো কি না তা রিমান্ডে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সিলেটে গ্রেফতারকৃত ডা. রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহ ও তার সহযোগী আরিফ ফাহিম সিদ্দিকীকে আজ তিনদিনের পুলিশ রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। রিমান্ডে তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাবাদ করা হবে। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় তাদেরকে এ রিমান্ডে নেয়া হয়। 
সিটিটিসি প্রধান কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান  জানান, গত ১ নভেম্বর সায়েদাবাদ থেকে তিনজন জঙ্গি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই তার নাম এসেছে। এর প্রেক্ষিতেই বুধবার দুপুরে সিলেট থেকে ডা. রাফাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি একটি মেডিক্যাল থেকে এমবিবিএস পাশ করে ইন্টার্নি করেন। সিলেট থেকে নিখোঁজ তিন যুবককে এই রাফাতই রেডিক্যালাইজ করার নেপথ্যে মূল ব্যক্তি ছিলেন।
ডা. রাফাত দীর্ঘদিন ধরে সিলেট অঞ্চলের ধর্মভীরু যুবকদের জিহাদ ও জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ, প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন জানিয়ে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সেখানে তিনি কোরান প্রশিক্ষণের আড়ালে জঙ্গিবাদের দীক্ষা দিচ্ছিলেন। তারা বেশ কয়েকজন জিহাদে উদ্বুদ্ধ যুবককে বোমা বানানোর প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। সেই বোমা বানানোর কারিগরকেও শনাক্ত করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
রাফাতকে এই সংগঠনের মাস্টারমাইন্ড উল্লেখ করে তিনি বলেন, কথিত হিজরত করতে প্রস্তুত সিলেট অঞ্চলের আরও বেশ কয়েকজন যুবককে শনাক্ত করা হয়েছে। হিজরতের আগেই মাস্টারমাইন্ড ডা. রাফাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 
গ্রেফতারকৃত রাফাতের সঙ্গে জামায়াত বা শিবিরে যোগাযোগ রয়েছে কি না এ বিষয়ে তিনি বলেন, রাফাত এক সময় শিবির করেছেন। বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে তার সিক্রেট যোগাযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সিটিটিসি সূত্রে জানা যায়, ডা. রাফাত চৌধুরী নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম সক্রিয় সদস্য ও তিনি সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করতেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট বিশেষ অভিযান চালিয়ে বুধবার (৯ নভেম্বর) সিলেট জালালাবাদ থানার রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ এলাকা থেকে ডা. রাফাত চৌধুরী ও তার সহযোগী আরিফকে গ্রেফতার করে।
তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালের জুন মাসে তার ও অপর সহযোগী তাহিয়াতের নেতৃত্বে সিলেট এলাকা থেকে ১১ জন বান্দরবান যায়। সেখানে জঙ্গি সংগঠনের অন্যান্য নেতাদের সাথে যোগাযোগ করতে না পারায় ৭ দিন পরে তারা সিলেটে ফিরে দাওয়াতি কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। 
পরবর্তীতে ডা. রাফাতের নির্দেশনায় তাহিয়াত সহযোগীসহ ঢাকার উদ্দেশ্যে বের হয়। পরে সিটিটিসি তাকে গ্রেফতার করে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: