odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Wednesday, 5th November 2025, ৫th November ২০২৫
যৌথ প্রেস ব্রিফিং এ বাণিজ্যমন্ত্রী এবং জাপানের এ্যাম্বাসেডর

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সাক্ষরের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শুরুর ঘোষণা

odhikarpatra | প্রকাশিত: ১৩ December ২০২২ ০৯:২৭

odhikarpatra
প্রকাশিত: ১৩ December ২০২২ ০৯:২৭

২৭ অগ্রহায়ণ ( ১২ ডিসেম্বর, ২০২২) বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি বলেছেন, জাপান বাংলাদেশের অন্যতম বাণিজ্য এবং উন্নয়ন সহযোগি। বিগত ৫০ বছর জাপান বাংলাদেশকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা দিয়ে আসছে। জাপান এখন বাংলাদেশের বড় রপ্তানি বাজার। দু’দেশের বাণিজ্য দিনদিন বাড়ছে। বাংলাদেশে জাপানের অনেক বিনিয়োগ রয়েছে। অতিসম্প্রতি নারায়নগঞ্জ জেলার আড়াই হাজার উপজেলায় স্পেশাল ইকোনমিক জোনে ১.৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি গ্রাজুয়েশন করবে। বিভিন্ন দেশের সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করে সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করছে। জাপানের সাথে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমন্ট(এফটিএ) অথবা ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (ইপিএ) এর মতো মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করে সহযোগিতা গ্রহণের প্রয়োজন হবে। সেজন্য বাংলাদেশ জাপানের সাথে এ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গত অর্থ বছরে বাংলাদেশ জাপানে ১.৩৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে, একই সময়ে ২.৪১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে। জাপানের বাজারে এখন এক বিলিয়নের বেশি বাংলাদেশের তৈরী পোশাক রপ্তানি হচ্ছে। আগামীতে মুক্ত বাণিজ্য সুবিধা পাওয়া গেলে এ রপ্তানি আরও বাড়বে। বাণিজ্যমন্ত্রী আজ (১২ ডিসেম্বর, ২০২২) ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) অথবা অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি(ইপিএ) স্বাক্ষরের লক্ষ্যে যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা আরম্ভকরণ বিষয়ে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে এ সব কথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ পরিকল্পিত ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এ অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ জাপানকে পাশে চায়। জাপানের বিদায়ী এ্যাম্বাসেডর ইতো নাওকি যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, বাংলাদেশের সাথে জাপানের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘ ৫০ বছরের। আরও বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে, এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। জাপান বাংলাদেশের সাথে ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর করে বাণিজ্যেক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি করতে চায়। বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় জাপান পাশে থাকবে। এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের এ্যাম্বাসেডর ইতো নাওকি বাণিজ্যমন্ত্রীর সাথে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব(রপ্তানি) মো. রহিম উপস্থিত ছিলেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: