odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Monday, 10th November 2025, ১০th November ২০২৫

এসডিজি অর্জনে বিচ্যুতি ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে : টিআইবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: | প্রকাশিত: ১৭ September ২০১৭ ২০:০৯

নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ১৭ September ২০১৭ ২০:০৯

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ১৬ (এসডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রস্তুতি যথেষ্ট এবং বিস্তৃত। কিন্তু ‘প্রায়োগিক’ ক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপের ঘাটতি থাকায় লক্ষ্য অর্জনে বিচ্যুতি ঘটার ঝুঁকি রয়েছে। দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক গবেষণায় এ পর্যবেক্ষণ উঠে এসেছে।
রোববার ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে সংস্থাটির কার্যালয়ে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ১৬: দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সুশাসন-সংশ্লিষ্ট লক্ষ্যের ওপর বাংলাদেশের প্রস্তুতি, বাস্তবতা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এ গবেষণা প্রকাশ করা হয়। টিআইবি বলছে, আইন প্রয়োগ ও চর্চায় দুর্বলতা এবং ঘাটতি, আইনের অপব্যবহার এবং রাজনৈতিক বিবেচনায় আইনের প্রয়োগ ইত্যাদি কারণে লক্ষ্য অর্জনে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে।
২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন শীর্ষ বৈঠকে ১৯৩টি সদস্যরাষ্ট্র এসডিজি গ্রহণ করে। ২০৩০ সালের মধ্যে সদস্যরাষ্ট্রগুলো এটি বাস্তবায়ন করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ।
টিআইবি জানায়, এসডিজির দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সুশাসনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট চারটি লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের প্রস্তুতি, বাস্তবতা ও চ্যালেঞ্জসমূহ পর্যালোচনার উদ্দেশ্যে গবেষণাটি পরিচালনা করে তারা। এ বছরের এপ্রিল-আগস্ট সময়ের মধ্যে এটি পরিচালিত হয়। সংস্থাটি বলছে, সার্বিকভাবে বাংলাদেশের জন্য এসডিজির প্রযোজ্য ২৪১টি সূচকের মধ্যে সরকারের কাছে ৭০টি সূচকের ওপর সম্পূর্ণ এবং ১০৮টি সূচকের ওপর আংশিক তথ্য রয়েছে। ৬৩টি সূচকের ওপর সরকারি কোনো তথ্য নেই। গুণগত এ গবেষণায় তথ্যের পরোক্ষ উৎস হিসেবে সংশ্লিষ্ট আইন ও নীতি, গবেষণা প্রতিবেদন, আন্তর্জাতিক সূচক, দেশভিত্তিক ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন, জাতীয় তথ্যভান্ডার ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ব্যবহৃত হয়েছে।
গবেষণায় দেখা যায়, বিভিন্ন উদ্যোগ সত্ত্বেও বাংলাদেশে দুর্নীতি ও ঘুষ, অর্থপাচার, মৌলিক স্বাধীনতার ব্যত্যয় ও মানবাধিকার লঙ্ঘন অব্যাহত রয়েছে। জাতীয় শুদ্ধাচার কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো প্রত্যাশিত পর্যায়ে কার্যকর নয় এবং এজন্য দলীয় রাজনৈতিক প্রভাব, কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা, নির্বাহী বিভাগ ও প্রশাসনের আধিপত্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানেই জনগণের কাছে জবাবদিহিতার কোনো কাঠামো নেই এবং এসব প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ জবাবদিহিতা ব্যবস্থাও দুর্বল। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশও পর্যাপ্ত নয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: