odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Monday, 10th November 2025, ১০th November ২০২৫

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার প্রসাশনের হস্তক্ষেপে পিয়াজের দাম কমলো ৪০ টাকা

odhikar patra | প্রকাশিত: ১২ December ২০২৩ ২২:৫২

odhikar patra
প্রকাশিত: ১২ December ২০২৩ ২২:৫২

 রিপোর্টার মোঃ আলী হোসেন

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বিভিন্ন ছোট-বড় বাজারগুলোতে গত দুই দিন ধরে পিয়াজ দাম নিয়ে চলছে তুলকালামকান্ড। দোকানীরা যে যার ইচ্ছে মত বিক্রি করছেন পিয়াজ। কেউ বিক্রি করছেন ২০০ টাকা কেজি। কেউবা বিক্রি করছেন ১৯০ টাকা কেজি।

আথচ ২ দিনে আগেও ক্রেতারা সেই পিঁয়াজ মাত্র ৭০/৮০ টাকা কেজি দামে ক্রয় করেছিলেন।

এ যেন লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে পিয়াজের দাম। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। ইতিমধ্যে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে। পরে বাজার নিয়ন্ত্রনে রোববার রাতে উপজেলার বৃহত্তম বাজার কালাইয়া বন্দরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিক কুমার কুন্ড। এ সময় কালাম নামে এক ব্যবসায়ীকে ৫হাজার টাকা অর্থদন্ড করেন তিনি।

সাপ্তাহিক বাজারের দিন সোমবার দুপুরে সরেজমিনে কালাইয়া বন্দরে দেখা গেছে পাইকারী বিক্রেতারা প্রতি কেজি পিয়াজ ১৬০ টাকা দামে বিক্রি করেছেন। রোববার রাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান পরিচালনা করার পরে ১৬০ টাকা কেজি দামে পিয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। এতে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ক্রেতা কালাইয়া গ্রামের মনির বলেন, রোববার কালাইয়া বাজারে ২০০ টাকা কেজি পিয়াজ বিক্রি করেছেন দোকানীরা। প্রসাশনের হস্তক্ষেপে আজ সোমবার সেই পিয়াজ ১৬০ টাকা কেজি দামে কিনতে পেরেছি। প্রসাশন হস্তক্ষেপে পিয়াজের দাম কমেছে ৪০ টাকা ।

কালাইয়া বন্দরের পাইকারী পিয়াজ বিক্রেতা ব্যবসায়ী মো. সাদ্দাম হোসেন ও কালাম হাজীর সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন,১৮০ টাকা দামে পিয়াজ ক্রয় করে কেজিপ্রতি ২০ টাকা লোকসানে ১৬০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে আমারদের প্রচুর অর্থ লোকসান গুনতে হচ্ছে। তবু ক্রেতাদের নানা অভিযোগ শুনতে হচ্ছে।

বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বশির গাজী বলেন, আজ(সোমবার ) সকালে ব্যবসায়ীদের সাথে আমার বৈঠক হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বরিশাল থেকে ১৮০ টাকা কেজি পিয়াজ কিনেছেন বলে আমাকে জানিয়েছেন। এরপর আমি বরিশালে খোঁজখবর নিয়ে প্রতি কেজি পিয়াজ ১৫০ টাকা বিক্রি করার কথা ব্যবসায়ীদেরকে জানিয়েছি। ব্যবসায়ীরা সে সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। কোন কোন ব্যবসায়ী সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে কেজি প্রতি ১০ টাকা বেশি নিতে পারে সেটা আমার জানা নেই।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: