odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Thursday, 6th November 2025, ৬th November ২০২৫

হাতীবান্ধায় ২য় শ্রেনীর ছাত্রী ধর্ষনের স্বীকার টাকা দিয়ে মিমাংসা

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ৩১ December ২০১৭ ১০:৩১

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ৩১ December ২০১৭ ১০:৩১


হাসান মাহমুদ

লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায় ২য় শ্রেনীর ছাত্রী ধর্ষনের ঘটনায় ২লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে মিমাংসা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নওদাবাস ইউপি চেয়ারম্যান অশ্বনী কুমার বসুনিয়া এই মিমাংসা করেন বলেন জানাগেছে। এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর সোমবার বিকেলে মেয়েটিকে টয়লেটে ডুকিয়ে ধর্ষন করে উপজেলার ধওলাই গ্রামের বাসিন্দা ধিজেন্দ্র নাথের ছেলে নিত্য। গত কয়েকদিন ধরে শিশুটি রংপুর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার বাড়ি ফিরে। এ বিষয়ে একাধিক বার যোগাযোগ করেও ধর্ষক পরিবারের কারো কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ধর্ষকের চাচী সোর্বা রানী জানান, বাড়ি ছেড়ে সবাই চলে গেছে। মিমাংসা হওয়ার পথে। মিমাংসা হলে তারা বাসায় ফিরবে।এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার এক ব্যাক্তি জানান, ২লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় বিষয়টি মিমাংসা করা হয়েছে। তার মধ্যে মেয়ের বাবা ১লক্ষ ৫০হাজার টাকা ও চেয়ারম্যান ১লক্ষ টাকা নিয়েছে।

জানাগেছে, গত ১৮ ডিসেম্বর হাতীবান্ধা উপজেলার ধওলাই গ্রামের বাসিন্দা ধিজেন্দ্র নাথের ছেলে নিত্য তার প্রতিবেশী ২য় শ্রেনীর ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে গিয়ে টয়লেটে ঢুকিয়ে ধর্ষন করে করে। পরে শিশুটির পরিবার বুঝতে পেরে ওই দিন রাতে হাতীবান্ধা হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানকার কর্মরত চিকিৎসক তাদেরকে লালমনিরহাট হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। সেখান থেকে তারা রংপুর হাসপাতালে চিাকৎসা শেষে গতকাল ২৮ ডিসেম্বর বাসায় ফিরে আসে। ধর্ষনের শ্বিকার মেয়েটির মা জানান, ১৮ ডিসেম্বর সোমবার বিকেলে নিত্যের ভাতিজির মায়ার সাথে খেলছিল আমার মেয়ে। এসময় নিত্য আমার মেয়েকে জোর করে সেখান থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে টয়লেটে ডুকিয়ে ধর্ষন করে। মেয়েটির বাবা জানান,মেয়েটির বিয়ে দিতে হবে তাই আমি কোন ঝামেলা চাই না। চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে সে যা করবে তাই।


এ বিষয়ে নওদাবাস ইউপি চেয়ারম্যান অশ্বনী কুমার বসুনিয়া জানান, আমি কিছু জানি না। আর আমি কোন মিমাংসা করি নাই।


এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিম হোসেন সরদার জানান, মেয়েটি যে দিন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল তখন হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তখন তারা বলেছে চিকিৎসা শেষে থানায় এসে মামলা করবে। তবে এখন পর্যন্ত তারা থানায় আসে নাই। আর মিমাংসার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। বিষয়টি জানলাম আজ আবারও পুলিশ পাঠায় দিব।

 

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: