odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Monday, 10th November 2025, ১০th November ২০২৫

বাংলাদেশ শিগগিরই নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে: উপ

odhikarpatra | প্রকাশিত: ২১ September ২০২৪ ১৭:১৪

odhikarpatra
প্রকাশিত: ২১ September ২০২৪ ১৭:১৪

 ঢাকা, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ : বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, বাংলাদেশ শিগগিরই নেপাল থেকে ভারতীয় সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে জলবিদ্যুৎ আমদানির জন্য নেপাল ও ভারতের সাথে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে।

রাজধানীর একটি হোটেলে শুক্রবার সন্ধ্যায় নেপালের জাতীয় ও সংবিধান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি বলেন, “বিদ্যুৎ আমদানি ও রপ্তানির চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটি প্রতিনিধি দল শিগগিরই নেপাল সফর করবে।”   
সরকারি সূত্র জানায়, জ্বালানি সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা হওয়ার ছয় বছর পর বাংলাদেশ, নেপাল এবং ভারত সম্প্রতি ভারত হয়ে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে সম্মত হয়েছে।
ঢাকায় নেপালি দূতাবাস আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
নেপাল এবং নেপালি জনগণের বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রশংসা করে তিনি বাণিজ্য,জ্বালানি, সংযোগ এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ত্বরান্বিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, দিনটি ২০১৫ সালে একটি গণতান্ত্রিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সংবিধানের ঐতিহাসিক ঘোষণার জন্য স্মরণীয়।
তিনি বলেন, ‘এই দিনটি আমাদের দেশপ্রেম, গণতন্ত্র এবং বৈচিত্রের নেপালি চেতনার কথা মনে করিয়ে দেয় এবং নেপালি জনগণের রাজনৈতিক সমস্যা এবং মতপার্থক্য তারা নিজেরাই সমাধান করার ক্ষমতার সাক্ষ্য দেয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যখন একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে, তখন নেপাল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও জনগণের পাশে দাঁড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সব ধরনের সমর্থন ও সহযোগিতা প্রদানে সংহতি প্রকাশ করছে।
ভারতীয় সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে নেপাল থেকে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানির বিষয়ে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি শিগগিরই শেষ হবে বলেও দূত উল্লেখ করেন।
তিনি নেপাল ও বাংলাদেশের সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করে, উভয় দেশের জনগণের পারস্পরিক সুবিধার জন্য সংযোগ বাড়াতে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জনে সংহতি ও সহযোগিতার রূপান্তরকারী শক্তিকে কাজে লাগানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়ার্ধে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নেপালি লোক-নৃত্য পরিবেশিত হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, উচ্চপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, রাষ্ট্রদূত, মিশন প্রধান ও কূটনীতিকগণ, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মী এবং বাংলাদেশে বসবাসরত নেপালি সম্প্রদায়ের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: