odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Monday, 10th November 2025, ১০th November ২০২৫

আর্জেন্টিনার সঙ্গে আবেগপূর্ণ সম্পর্ককে বাণিজ্য সহযোগিতায় রূপান্তরের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

odhikarpatra | প্রকাশিত: ১৯ January ২০২৫ ১৭:২০

odhikarpatra
প্রকাশিত: ১৯ January ২০২৫ ১৭:২০

ফুটবলকে ঘিরে বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার মধ্যে যে আবেগপূর্ণ সম্পর্ক, তা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষত বাণিজ্য ও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা সম্প্রসারণে কাজে লাগানোর জন্য আর্জেন্টিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রোববার বাংলাদেশে নিযুক্ত আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত মার্সেলো সেসা ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।

আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের প্রতি বাংলাদেশিদের ব্যাপক সমর্থনের কথা উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমাদের মধ্যে আবেগপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা এর ওপর ভিত্তি করে আরও এগোতে পারি। মাঠ প্রস্তুত। আমরা এটি অন্যান্য ক্ষেত্রেও নিয়ে যেতে পারি।’

প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের সাথে তুলা বাণিজ্য বৃদ্ধি ও এখাতে সম্পূর্ণ মালিকানাধীন বা যৌথ উদ্যোগে বিনিয়োগ সুযোগ খুঁজে দেখতে এবং জ্বালানি সহযোগিতার সম্ভাবনা অন্বেষণ করার আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রদূত সেসা প্রধান উপদেষ্টাকে জানান যে, আর্জেন্টিনা ও বাংলাদেশের মধ্যে এখনও সহযোগিতার অনেক ক্ষেত্র অনাবিষ্কৃত রয়েছে, যা উভয় দেশের জন্য বিপুল সম্ভাবনা ধারণ করে। তিনি আর্জেন্টিনার বুয়েনেস আয়ারেসে বাংলাদেশের দূতাবাস চালুর বিষয়টি বিবেচনা করার অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন, ‘দূতাবাস চালু হলে যে সুসম্পর্ক আমাদের রয়েছে, তা আমরা উভয় দেশের কল্যাণে কাজে লাগাতে পারবো।’

রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন যে, বর্তমানে আর্জেন্টিনার বাংলাদেশের সাথে প্রায় ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য রয়েছে, যা তার দেশের পক্ষে ঝুঁকে আছে। তিনি বলেন, আর্জেন্টিনার সরকার বাংলাদেশ থেকে আমদানি বাড়িয়ে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে সমতা আনার চেষ্টা করছে।

বর্তমানে আর্জেন্টিনা বাংলাদেশে সয়াবিন, গম, ভুট্টা, কাঁচা তুলাসহ অন্যান্য পণ্য রপ্তানি করে এবং বাংলাদেশ থেকে প্রায় ২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করে।

রাষ্ট্রদূত তুলা, যৌথ বিনিয়োগ, ওষুধ শিল্প, টেক্সটাইল, নারী ফুটবলসহ ফুটবল খেলায় সহযোগিতা বৃদ্ধি, ক্ষুদ্রঋণ, বাণিজ্য প্রতিনিধি দল প্রেরণ, এলএনজি ও ধানের রোগ প্রতিরোধসহ বিভিন্নখাতে নিবিড়ভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

রাষ্ট্রদূত সেসা ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট জোরপূর্বক গুম প্রতিরোধে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক গুমবিরোধী সনদে স্বাক্ষর করার প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন।

তিনি আর্জেন্টিনায় ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থা চালু করার জন্য বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।

সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: