odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Monday, 10th November 2025, ১০th November ২০২৫

পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের সহায়তা চান প্রধান উপদেষ্টা

odhikarpatra | প্রকাশিত: ২৯ January ২০২৫ ২১:৫৯

odhikarpatra
প্রকাশিত: ২৯ January ২০২৫ ২১:৫৯

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে দেখা করে ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অ্যালেক্স সোরোস বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনর্গঠন, পাচার করা সম্পদ সন্ধান, ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই এবং গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সংস্কার বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অ্যালেক্স সোরোস ও প্রেসিডেন্ট বিনাইফার নওরোজির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আজ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সাথে দেখা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহীত সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন।

বৈঠককালে অ্যালেক্স সোরোস ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার এবং দেশের প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও অর্থনীতি পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অধ্যাপক ইউনূসের প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থান দেশের জন্য একটি নতুন যাত্রাপথ নির্ধারণের ‘বিরাট সুযোগ’ তৈরি করেছে।

তারা জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান, আন্দোলনে হতাহতদের জন্য ন্যায়বিচার, অর্থনৈতিক সংস্কার, গণমাধ্যম, পাচার হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধার, নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন ও এটিকে উন্নত করার উপায় এবং রোহিঙ্গা সংকটের মতো বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেছেন।

অ্যালেক্স সোরোস বলেন, ‘আমরা এসব ক্ষেত্রে আপনার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার উপায় অনুসন্ধান করব।’

অধ্যাপক ইউনূস ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনকে তাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান।

তিনি ছাত্র-নেতৃত্বাধীন অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানের খবর ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে আরও বেশি কিছু করার জন্য ফাউন্ডেশনের প্রতি আহ্বান জানান, যে আন্দোলন একটি নৃশংস স্বৈরশাসকের পতন ঘটিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘দাভোসে আমার সফরের সময় আমি যা দেখেছি তা হল জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে খুব বেশি লোক জানে না। অনেক বিভ্রান্তি রয়েছে।’

প্রধান উপদেষ্টা শেখ হাসিনার ১৬ বছরের দীর্ঘ শাসনামলে পাচার করা প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন ডলার ফিরিয়ে আনার জন্য ‘সম্পদ সনাক্তকরণ’ কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য ফাউন্ডেশনকে অনুরোধ করেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উত্তরাধিকারসূত্রে একটি ‘বিপর্যস্ত ও যুদ্ধবিধ্বস্ত’ অর্থনীতি পেয়েছে। তিনি পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় ফাউন্ডেশনের সহায়তা কামনা করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যম এখন অভূতপূর্ব স্বাধীনতা ভোগ করছে। কিন্তু ভুল তথ্য ও অপতথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এলডিসি উত্তরণে সহায়তা করার ইচ্ছাও প্রকাশ করে। প্রধান উপদেষ্টা এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘কোনো সমস্যা ছাড়াই কীভাবে উত্তরণ করা যায় তা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।’



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: