ঢাকা | শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

যে আইন উপকারে আসে না তা আইন নয়: ফখরুল

Admin 1 | প্রকাশিত: ৭ মার্চ ২০১৭ ০৪:১৯

Admin 1
প্রকাশিত: ৭ মার্চ ২০১৭ ০৪:১৯

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আইনের (আরপিও) রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিলসংক্রান্ত ধারার দিকে ইঙ্গিত করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আইন মানুষের উপকারের জন্য। যে আইন মানুষের উপকারে আসে না, সেটি আইন নয়।

আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম ও উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম ওই আলোচনার আয়োজন করে।

ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে বিএনপিকে নির্বাচনে নিতে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে—এমন মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, নির্বাচন বিষয় নয়, বিএনপি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা চায়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নির্বাচন নয়। সরকার একই কায়দায় ছলচাতুরী করে, প্রতারণা করে গোল করতে চায়। কিন্তু তা এত সহজ নয়। তিনি অভিযোগ করেন, দেশের কোথাও গণতন্ত্র নেই। জনগণকে বোকা বানানোর জন্য সরকার গণতন্ত্রের কথা বলে। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না।

আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, বিএনপি এবার নির্বাচনে যেতে বাধ্য। নির্বাচনী আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) আইনের ৯০ এইচ (১) (ই) ধারা বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হবে। তাঁদের মত, এই ধারার কারণে বিএনপি নির্বাচনে আসতে বাধ্য হবে। আরপিও ৯০ এইচ (১) ধারায় রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিলের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। পাঁচটি কারণে কমিশন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করতে পারবে। এই ধারার (ই) উপধারায় বলা হয়েছে, কোনো রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল হবে, যদি কোনো রাজনৈতিক দল পরপর দুটি সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেয়। অবশ্য নিবন্ধন বাতিলের ক্ষেত্রে কোনো দল যদি ৯০ এইচ (১) (ই) ধারা লঙ্ঘন করে, সে ক্ষেত্রে দলটির নিবন্ধন সরাসরি বাতিল হবে না। পরপর দুবার নির্বাচনে অংশ না নেওয়া দলটিকে শুনানিতে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেবে। কমিশনের কাছে দলটির বক্তব্য গ্রহণযোগ্য না হলেই কেবল তারা নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, একদিন তারেক রহমানের কারাবন্দী দিবস পালন করে লাভ হবে না। তারেক রহমানকে দেশে নিয়ে আসতে হবে, সে জন্য আন্দোলন করতে হবে। বিএনপির মহাসচিব অভিযোগ করেন, তারেক রহমান সুদূরপ্রসারী চক্রান্তের শিকার। এই চক্রান্ত শুরু হয়েছিল জিয়াউর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ। অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহসাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: