odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Monday, 10th November 2025, ১০th November ২০২৫

এ দেশে বিনিয়োগ করলে থাই বিনিয়োগকারীরা লাভবান হবেন : বাণিজ্যমন্ত্রী

Admin 1 | প্রকাশিত: ২৩ March ২০১৭ ০৪:৪৯

Admin 1
প্রকাশিত: ২৩ March ২০১৭ ০৪:৪৯

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ডাইরেক্ট ফরেন ইনভেষ্টমেন্ট (ডিএফআই)কে বাংলাদেশ সরকার উৎসাহিত করছে, এক্ষেত্রে অনেক সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
আজ বুধবার ঢাকায় প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ঢাকাস্থ রয়েল থাই দূতাবাস এবং থাইল্যান্ড সরকারের ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড প্রমোশন যৌথ ভাবে আয়োজিত থাই পণ্যের ১৫তম প্রদর্শনী “থাইল্যান্ড উইক-২০১৭” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমদ বলেন, থাইল্যান্ড বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাষ্ট্র। দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। থাইল্যান্ডের অনেক পণ্যের চাহিদা রয়েছে বাংলাদেশে, থাইল্যান্ডেও বাংলাদেশের তৈরী অনেক পণ্যের চাহিদা রয়েছে। থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে তা লাভজনক হবে। সরকার আইন করে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করেছে। উদার বিনিয়োগনীতিতে বিনিয়োগকারীগণ শতভাগ বিনিয়োগ করতে পারবেন এবং প্রয়োজনে সম্পূর্ণ বিনিয়োগের অর্থ ফিরিয়ে নিতে পারবেন।
তিনি বলেন, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বাংলাদেশে চমৎকার বিনিয়োগের পরিবেশ রয়েছে, বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীরা চাইলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন থেকে থাইল্যান্ডকে এক বা একাধিক জোন বরাদ্দ দেয়া হবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের মধ্যে উন্নয়নের রোল মডেল। বিশ^বাণিজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে। গতবছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.১১ ভাগ এবছর হবে ৭.২ ভাগ। বিগত প্রায় ১০ বছর দেশের এ প্রবৃদ্ধি গড়ে ৬ ভাগের বেশি হয়েছে। বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে এখন অনেক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মেলার মাধ্যমে উভয় দেশেল মানুষ বিভিন্ন পণ্যের সাথে পরিচিত হবার সুযোগ পান। থাইল্যান্ডে পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি করে এ বাণিজ্য ব্যবধান কমানো সম্ভব। থাইল্যান্ড ইতোমধ্যে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি ক্ষেত্রে বেশ কিছু পণ্যের উপর শুল্ক কমিয়েছে। বাণিজ্য সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি করা হলে বাংলাদেশেল রপ্তানি বাড়বে।
চারদিনব্যাপী এই মেলা ২২ থেকে ২৩ মার্চ ব্যবসায়ীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং ২৪ থেকে ২৫ মার্চ প্রদর্শণী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। মেলায় থাই পণ্যের উৎপাদক ও রপ্তানি কারকগণ সরাসরি অংশ নিয়েছে। মেলায় চিকিৎসা সেবা, কসমেটিকস, সৌন্দর্যবর্ধক, তৈরী পোশাক, ফ্যাশন সামগ্রী, ইলেক্ট্রনিক পণ্য, স্পা, জুয়েলারি, কনফেকশনারি, গৃহস্থলি পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রয় করা হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকায় নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত পানপিমোন সোয়ান্নাপং, মিনিস্টার কনস্যুলর (কমার্শিয়াল) সিবস্যাক ডেনবুনরিয়াং প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: