odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Monday, 10th November 2025, ১০th November ২০২৫

চীনে রপ্তানিতে ৯৭ ভাগ শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা পাবে বাংলাদেশ লেটার অফ এক্সচেঞ্জ অনুমোদিত হলে 

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১২ August ২০১৮ ১৭:৩৮

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১২ August ২০১৮ ১৭:৩৮

 

 

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, লেটার অফ এক্সচেঞ্জ অনুমোদিত হলে চীনে রপ্তানিতে ৯৭ ভাগ শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা পাবে বাংলাদেশ।
আজ রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জুয়োর সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সাথে এফটিএ করার জন্য চীন আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে উভয় দেশের মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। এখন এফটিএ‘র সম্ভাব্যতা যাচাই প্রক্রিয়া চলছে। সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলে বাংলাদেশ চীনের সাথে এফটিএ স্বাক্ষর করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে চুড়ান্ত ভাবে উন্নীত হবে ২০২৭ সালে। তখন জিএসপি সুবিধা থাকবে না। এফটিএ করে পারস্পরিক বাণিজ্য সুবিধা নিতে হবে। চীনের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় বাংলাদেশে বড় বড় প্রকল্প বাস্তিবায়িত হচ্ছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, চীনের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে উভয় দেশ আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে। চীনের বাজারে বাংলাদেশের বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধি করা হলে, বাণিজ্য ঘাটতি কমে আসবে।
তিনি বলেন, চীন বাংলাদেশের ঘনিষ্ট বন্ধু রাষ্ট্র এবং ব্যবসায়িক ও উন্নয়নের অংশীদার। চীনের সহযোগিতায় পূর্বাচলে ৩৫ একর জমির উপর চীন-বাংলাদেশ এ´িবিশন সেন্টার নির্মিত হচ্ছে। আগামী ২০২০ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হবে। এর মোট ব্যয়ের সিংহ ভাগ চীন সরকার বহন করবে।
চীনের রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জুয়োর বলেন, চীন বাংলাদেশকে উচ্চমাত্রায় গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক চমৎকার। বাংলাদেশের সাথে এফটিএ স্বাক্ষর করে বাণিজ্য ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা শুরু করতে চায় চীন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে চীন আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা করে যাচ্ছে। প্রাইভেট এবং জি টু জি ভিত্তিতে এ সকল কাজ চলছে।
ডব্লিউটিও‘র সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশ চীনের কাছে লেটার অফ এক্সচেঞ্জ প্রেরণ করেছে, সম্মতি পাওয়া গেলেই বাংলাদেশ চীনের কাছে রপ্তানি পণ্যের ৯৭ ভাগে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা পাবে। ডব্লিউটিও‘র সদস্য দেশগুলো নিজেদের মধ্যে এ বাণিজ্য সুবিধা নিতে পারে। এ মহুর্তে বাংলাদেশ এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্টের(আপটা) আওতায় চীনের কাছ থেকে ৫,০৭৪ টি রপ্তানি পন্যের উপর শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা পাচ্ছে। লেটার অফ এক্সচেঞ্জ এর আওতায় বাণিজ্য সুবিধা গ্রহণ করলে এফটিএ’র আওতায় চলমান বাণিজ্য সুবিধা আর থাকবে না।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীষ বসু এবং এফটিএ‘র শাখার অতিরিক্ত সচিব মো. শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: