odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Wednesday, 5th November 2025, ৫th November ২০২৫

কুমিল্লায় আ. লীগ প্রার্থীর পরাজয় অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে: হানিফ

Admin 1 | প্রকাশিত: ১ April ২০১৭ ০৬:৪৭

Admin 1
প্রকাশিত: ১ April ২০১৭ ০৬:৪৭

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পরাজয়ের পেছনে স্থানীয় নেতৃত্বের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ভূমিকা রেখেছে মনে করেন দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ।

শুক্রবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “স্থানীয় নির্বাচনে অনেক সময় গ্রুপিং-দ্বন্দ্বের প্রভাব পড়ে, যেটা কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পড়েছে। আমাদের দলের মধ্যে কিছু আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে এ নীতিবাচক প্রভাব পড়েছে।”

বৃহস্পতিবার দিন ভর ভোটে কুমিল্লা সিটির মেয়র পদে দ্বিতীয় বারের মতো বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু জয়ী হয়েছে; ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমাকে তিনি ১১ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়েছেন।

আগের বার ২০১২ সালেও সীমার বাবা আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা আফজল খানকে হারিয়ে কুমিল্লার প্রথম মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপি নেতা সাক্কু।

কুমিল্লার সিটির নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যারা কাজ করেছেন, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে হানিফ বলেন, “কুমিল্লার বিষয়ে ইতোমধ্যে সাংগঠনিক সম্পাদকদের বলেছি এবিষয়ে তথ্য নিয়ে আসতে। এরপর আমরা সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেব।”

রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটউশন মিলনায়তনে ‘ইউনাইটেড পার্টি’ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

কুমিল্লার নির্বাচনের ফলকে সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের আস্থা কমার ইংগিত বলে বিএনপির বক্তব্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, “স্থানীয় নির্বাচন আর জাতীয় নির্বাচন এক নয়। স্থানীয় নির্বাচন সিটি মেয়র, পৌরসভা মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, মেম্বারদের ব্যক্তিগত ইমেজের বিষয় আছে। পারিবারিক, সামাজিক ও আঞ্চলিকতার টান থাকে।

“এই নির্বাচন দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের পরিসংখ্যান করার কোনো সুযোগ নেই। এই বোধ যাদের নেই, তাদের কাছে সরকার কী আশা করতে পারে?”

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে হানিফ বলেন, “এই নির্বাচনের পর আপনার যদি মনে করেন থাকেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হবেন তাহলে প্রস্তুত হন, ভোটে নামুন, জনগণের আস্থা কার প্রতি আছে তা প্রমাণ হয়ে যাবে।

“আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনবে জনগণ।”

দেশে সংঘটিত জঙ্গি হামলার প্রত্যেকটির সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের সম্পৃক্ততা আছে বলে মন্তব্য করে জঙ্গিবাদ দমনে বিএনপির ঐক্যের প্রস্তাব নাকচ করে দেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।

“কার সঙ্গে ঐক্য? যারা জঙ্গিবাদে পৃষ্টপোষকতা করে যাচ্ছে তাদের সঙ্গে ঐক্য? এ ঐক্য তো খালেদা জিয়া করতে যাচ্ছে এই জঙ্গিদের রক্ষা করার জন্য। আজ তো আন্তর্জাতিকভাবেই স্বীকৃত হয়েছে যে এদেশে যত জঙ্গি হামলা হয়েছে তা হয়েছে বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতায়। এরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।”

‘ইউনাইটেড পার্টি’র সভাপতি ইসমাঈল হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: