odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Wednesday, 5th November 2025, ৫th November ২০২৫

স্পিকারের সাথে যুক্তরাজ্য প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

Admin 1 | প্রকাশিত: ৩ April ২০১৭ ১১:০৩

Admin 1
প্রকাশিত: ৩ April ২০১৭ ১১:০৩

জাতীয় সংসদের স্পিকার, সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ও ১৩৬ তম আইপিইউ এসেম্বলির সভাপতি ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথে এসেম্বলিতে অংশগ্রহণকারী যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধি দল আজ রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।
যুক্তরাজ্যের ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের সভাপতি ও ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সিলেক্ট কমিটির সহ-সভাপতি নিগেল ইভান্স এমপি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
স্পিকার আইপিইউ এসেম্বলিতে অংশ নেয়ায় প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ আইপিইউ এসেম্বলির মত বড় আয়োজন করতে পেরে গর্বিত। আইপিইউভুক্ত দেশগুলোর স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণে এসেম্বলির গুরুত্ব অনেক বেড়েছে, অন্যন্য মাত্রা পেয়েছে ।
স্পিকার বলেন, বর্তমান সরকার দেশের জনগনের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। এর ফলে আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতি লাভ করছে। শিক্ষা,নারী শিক্ষা, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে নারীর অগ্রাধিকার নিশ্চিতকরণ, জেন্ডার সেনসেটিভ বাজেট প্রণয়ণের মতো কর্মসূচি গ্রহণের কারণে বাংলাদেশে জেন্ডার সমতা অনেকটাই নিশ্চিত হয়েছে।
তিনি বৃটিশ ব্যবসায়িদের বাংলাদেশ থেকে পাটজাত ও কৃষিজাত পণ্য এবং ওষুধ আমদানির আহবান জানান। ‘আমাদের দেশে একশ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের অনুকুল পরিবেশ রয়েছে’ উল্লেখ করে স্পিকার যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান জানান।
নিগেল ইভান্স বলেন, বাংলাদেশ ১৩৬তম আইপিইউ এসেম্বলি অত্যন্ত সুন্দরভাবে আয়োজন করেছে। তিনি জানান, স্বাধীনতা সংগ্রামসহ সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। বর্তমানে বাংলাদেশের উন্নয়ন বিশ্ব সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
স্পিকার বলেন,বাংলাদেশের জনগনের সিংহভাগ তথা শতকরা ৬৫ ভাগই তরুণ। এ জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে ২০২১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি উল্লেখ করেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং তাঁর দৃঢ় সংকল্পে নিজস্ব অর্থায়নে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে, যার ৪৫ ভাগ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
প্রতিনিধি দল বাংলাদেশকে একটি মডেল ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে আক্ষায়িত করেন। এ সময়ে স্পিকার বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে এদেশে সকল ধর্ম বর্ণের মানুষ সম্প্রীতির সাথে বসবাস করে আসছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ ২৩ বছরের সংগ্রামী জীবনে একটি অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনে কাজ করে গেছেন। তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অতি অল্প সময়ে দারিদ্র্য দূরীকরণ সম্ভব হয়েছে। জ্বালানী খাতে হয়েছে অভূতপূর্ব উন্নয়ন। বর্তমান সরকারের আমলে ১৫হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হয়েছে।
স্পিকার বলেন, যুক্তরাজ্যের সাথে বাংলাদেশের রয়েছে চমৎকার সম্পর্ক। দুদেশের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধি ও সংসদ সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যেমে এ সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্যও উপস্থিত ছিলেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: