odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Monday, 10th November 2025, ১০th November ২০২৫
রোহিঙ্গারা রাজি না হওয়ায়

থমকে গেল প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া

odhikar patra | প্রকাশিত: ২৩ August ২০১৯ ০২:৫৬

odhikar patra
প্রকাশিত: ২৩ August ২০১৯ ০২:৫৬

 

সব ধরনের প্রস্তুতি সত্ত্বেও মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শেষ পর্যন্ত শুরু করা যায়নি।
তারা (আশ্রিত রোহিঙ্গারা) মিয়ানমারের রাখাইনে তাদের নিজ গৃহে ফিরে যেতে রাজি হননি।
এ প্রসঙ্গে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম আজাদ আজ টেকনাফের শালবাগান ২৬ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এবারও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব হচ্ছে না। প্রত্যাবাসনের জন্যে ইচ্ছা প্রকাশ করে তালিকাভুক্ত হওয়া কোন রোহিঙ্গাই আসেননি।’
তিনি বলেন ‘এরপরও আমরা অপেক্ষায় থাকব। যারা স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফিরে যেতে রাজি হবেন শুধু তাদেরকেই ফেরত পাঠানো হবে। জোর করে কাউকে পাঠানো হবে না।’
আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রত্যাবাসনের তালিকায় থাকা ৩ হাজার ৪৫০ জন রোহিঙ্গার সাক্ষাতকার গ্রহণ মঙ্গলবার শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩ দিনে ২৯৫ রোহিঙ্গা পরিবারের সাক্ষাতকারও নিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এবং শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়।
উল্লেখ্য, বহুল প্রত্যাশিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের নির্ধারিত দিন ছিল আজ (২২আগস্ট)। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয় এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) সব রকমের প্রস্তুতিও নিয়েছিল। যানবাহনও প্রস্তুত রাখা হয়েছিলো। এর পাশাপাশি টেকনাফের নয়াপাড়ার শালবাগান এবং জাদিমুরা এলাকা থেকে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত পর্যন্ত নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছিল। সকল প্রস্তুতির পরও রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে রাজি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি।
মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ প্রথম দফায় ১ হাজার ৩৮টি রোহিঙ্গা পরিবারের ৩ হাজার ৯৯৯ জনের প্রত্যাবাসনের একটি তালিকাও প্রস্তুত রেখেছিল। বাংলাদেশে বর্তমানে ১১ লাখেরও বেশী রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। এদের অধিকাংশই ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে ঢুকেছে।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

বাসস 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: