odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Monday, 10th November 2025, ১০th November ২০২৫

সিরাজদিখানে ৪টি ইউনিয়নের হাজারো মানুষের যাতায়াতের ভরসা ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো

odhikar patra | প্রকাশিত: ৩ September ২০১৯ ২০:৫৮

odhikar patra
প্রকাশিত: ৩ September ২০১৯ ২০:৫৮


হামিদুল ইসলাম লিংকন, সিাজদিখান(মুন্সীগঞ্জ) সংবাদদাতা :
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ৪টি ইউনিয়নের হাজারো মানুষের যাতায়াতের ভরসা
ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো । পাকা সেতুর অভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে
বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন পারাপার হচ্ছে হাজারো মানুষ। উপজেলার
রাজানগর ইউনিয়নের সৈয়দপুর বাজারের পশ্চিম পাশে ধলের্শ¦রী শাখা নদীর ওপর
ঝুঁকিপূর্ণ এই বাঁশের সাঁকো। এলাকাবাসীর নিজেদের অর্থে এই বাঁশের
সাঁকো তৈরি করে। উপজেলার রাজানগর, চিত্রকোট, শেখরনগর, কেয়াইনসহ ৪টি
ইউনিয়নের হাজার মানুষ প্রতিদিন ঢাকা যাতায়াত করেন। এছাড়া হাটবাজার ও
স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা যাতায়াত করে থাকেন। এই ব্রিজটি হলে এই রোড দিয়ে
৩০ মিনিটে মোহাম্মদপুর, একঘন্টায় এয়ারপোর্টে যাওয়া যাবে বলে জানান
এলাকাবাসীরা। বছরের পর বছর চরম ভোগান্তি সত্তে¡ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুটি
মসজিদ, একটি মাদরাসা ও এতিমখানা , একটি কমিউনিটি ক্লিনিক, একটি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরসহ হাজার মানুষের প্রতিদিন যাতায়াত। একটি
পাকা সেতু নির্মাণের জন্য এলাকাবাসীর বহুদিনের প্রাণের দাবি হয়ে উঠেছে।
গ্রামবাসীদের সাথে কথা হলে অনেকেই আক্ষেপের সুরে বলেন, নির্বাচনের সময়
জনপ্রতিনিধিরা আমাদের কাছে আসে ভোট নিতে। অনেকেই প্রতিশ্রুতি
দেয় আমাদের যাতায়াতের পথে ব্রিজ নির্মাণ করে দেয়ার। কিন্তু নির্বাচনের পর
কেউ আর গ্রামবাসীদের খোজ-খবর নেয় না। এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের
দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
শিক্ষিকা শাকিলা আক্তার বলেন, কিছু দিন পর পর এই ঝুকিপূর্ণ বাঁশের
সাঁকো থেকে পরে গিয়ে অনেকেই আহত হন। আমিও পানিতে পরে গিয়ে আহত
হয়েছি। আবার পানিতে পরে মারাত্মক দূর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে শিশু থেকে
বৃদ্ধ বয়েসের মহিলা ও পুরুষরা।
উপজেলা চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এই ব্রিজটা নির্মাণের জন্য
বহুদিনের প্রাণের দাবি ওই এলাকার মানুষের । বাঁশের সাঁকো দিয়ে ওই এলাকার
মানুষ অনেক কষ্টে যাতায়াত করতে হয় । স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী ও এলাকাবাসীর জন্য
কি ভাবে এই ব্রিজ নির্মাণ করা যায় সে জন্য আমাদের এমপি সাহেব সহ আমরা
চেষ্টা করছি। দ্রæত যেন ব্রিজটা নির্মাণ করা যায়। যাতে এলাকার মানুষ গুলোর
দূর্ভুগ কমাতে পারি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশফিকুন নাহার বলেন, ‘এই
বিষয়টি আমি অবগত আছি। কিছু দিন আগে এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে
যাওয়ার সময় দেখেছি খুবি ঝুকিপূণ। আগে কয়েক বার এই ব্রিজটির জন্য
কাগজ পত্র পাঠানো হয়েয়ে ঢাকা থেকে অনুমোদন হয়নি। তার কারনে আমরা অন্য
রকম চিন্তা করছি সেখানে খুব শীঘ্রই লোহার একটি ব্রিজ বানিয়ে দেয়ার ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: