odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Monday, 10th November 2025, ১০th November ২০২৫

ভোগান্তিতে এলাকাবাসী সিরাজদিখানে ঠিকাদারের গাফলতিতে রাস্তার কাজে ধীরগতি

odhikar patra | প্রকাশিত: ১৫ September ২০১৯ ২২:২৩

odhikar patra
প্রকাশিত: ১৫ September ২০১৯ ২২:২৩

ভোগান্তিতে এলাকাবাসী
সিরাজদিখানে ঠিকাদারের গাফলতিতে
রাস্তার কাজে ধীরগতি
সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) সংবাদদাতা:
সিরাজদিখানে ঠিকাদারের গাফলতিতে রাস্তার কাজে ধীরগতি।
ভোগান্তিতে পরেছে এলাকাবাসী। উপজেলার জৈনসার ইউনিয়নের
শাসনগাঁও রাস্তাটির কাজ এক বছরেও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারী
প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফা এন্টারপ্রাইজ। রাস্তার কাজ সমাপ্ত না হতেই
জাগায় জাগায় ভাঙ্গন সৃষ্টি হওয়ায় জন দূর্ভেগে পরেছে হাজারো
মানুষ। ইউনিয়নের শাসনগাঁও গ্রামের ইউসুফ হাওলাদারের বাড়ি
থেকে শাসনগাঁও তারা মসজিদ পর্যন্ত ৯ শত ৬০ মিটার রাস্তাটির
সংস্কার ও পিচ ঢালাই কাজের টেন্ডার হয়েছে প্রায় ৭২ লাখ টাকা। এর
বাইরে ৪০ মিটার রাস্তার কোন বাজেট নেই। লৌহজং ও সিরাজদিখান
দুই উপজেলার সীমানায় ৪০ ফুট কাজ কেউ করছে না। এ কাজের জন্য
এলাকার এক ব্যাক্তির নিকট থেকে ১ লাখ টাকা নিয়েছে ঠিকাদার পলাশ।
রাস্তাটি ইটের খোসা (কংক্রিট) ও বালু দিয়ে পিচ ঢালাই করার জন্য
সলিং করে ফেলে রাখা হয়েছে। গত পাঁচ মাস ধরে বাকি কাজ ফেলে
রেখেছে ঠিকাদার। বর্তমানে বেশ কিছু জায়গায় গর্ত ও অনেক
জায়গায় রাস্তার পার ভেঙ্গে পরেছে। ভোগান্তিতে পরেছে জৈনসার
ইউনিয়নের ৪/৫ টি গ্রামের জনসাধারণ।
শাসনগাঁও গ্রামের শোধার আলী শেখ ও নারায়ন চন্দ্র বাড়ৈ জানান,
আমরা শুনেছি ঠিকাদার পলাশ পালিয়েছে। তাই ৬ মাস ধরে কোন কাজ
হচ্ছে না। যতটুকু কাজ হয়েছিল তাও রক্ষণাবেক্ষন না করায় গত কয়েক
মাসের বৃষ্টিতে রাস্তার কিনারের মাটি সরে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
ঠিকাদার ভাল ভাবে কাজ না করায় রাস্তা করতে না করতে অনেক অংশ
ভেঙেছে। আমরা আছি চরম দুর্ভোগে। পিচ ঢালাই পর্যন্ত যদি
সঠিক ভাবে তদারকি না করে তবে রাস্তাটি ঠিক থাকবে না, সরকারের
টাকাগুলো জলে যাবে। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ যাতে দৃস্টিদেন এই দাবী
জানাই।
শাসনগাঁও গ্রামের সুজন হাওলাদার জানান, কেরাণীগঞ্জের ঠিকাদার
পলাশ কাজটি নিয়েছে। তাঁরা মসজিদ ছেরে সিরাজদিখান সীমানা
পর্যন্ত কাজ করবে এরপর ৪০ মিটার কাঁচা রাস্তার পর লৌহজং এর
সীমানা। সেই কাজ টুকু করে দেওয়ার জন্য শেখ মো. জাকির
হোসেনের নিকট থেকে ১ লাখ টাকা নিয়েছে ঠিকাদার পলাশ। কিন্তু
সেখানে কোন কাজ করেনি আরো টাকা দাবী করেছে সে।সিরাজদিখান উপজেলা প্রকৌশলী শোয়াইব বিন আজাদ বলেন,
রাস্তাটির দৈর্ঘ্য ৯শত ৬০ মিটার, প্রস্থ্য ৩ মিটার, এর খরচ ধরা হয়েছে
৭১ লাখ ১৬ হাজার ১শত ১৪ টাকা। মেসার্স রাফা এন্টার প্রাইজ
কাজটি পেয়েছে যার মালিক মো. পলাশ। তিনি এই উপজেলায় ৩ টি
কাজ পেয়েছেন। ১৮ সালের ১৫ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর
এর মধ্যে কাজটি শেষ করার কথা রয়েছে। কোন কাজই ঠিকমত হচ্ছে না,
খুব ধীরগতি। তাকে এ বিষয়ে ২ বার চিঠি দিয়েছি আমরা। #



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: