odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Wednesday, 5th November 2025, ৫th November ২০২৫

রানা প্লাজার জমি শ্রমিকদের পুনর্বাসনে ব্যবহারের দাবি

Admin 1 | প্রকাশিত: ২৪ April ২০১৭ ০৯:১৭

Admin 1
প্রকাশিত: ২৪ April ২০১৭ ০৯:১৭

কাল ২৪ এপ্রিল। ২০১৩ সালের এই দিনে ঢাকার সাভারের রানা প্লাজা ধসে নিহত হন এক হাজারের বেশি শ্রমিক। তাঁদের স্মরণে ধসে পড়া ওই ভবনের সামনে আজ রোববার সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয়। অস্থায়ী বেদিতে ফুল দিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করে নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। পাশাপাশি রানা প্লাজার জমিটি শ্রমিকদের পুনর্বাসনের জন্য ব্যবহার করার দাবি জানানো হয়।

‘শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম’ ও ‘শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ’ নামের দুটি সংগঠন এসব কর্মসূচির আয়োজন করে। এ সময় সাভারের সাংসদ এনামুর রহমান, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মানবাধিকারকর্মী হামিদা হোসেন, সদস্যসচিব সৈয়দ সুলতান আহাম্মেদসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সাংসদ এনামুর রহমান বলেন, রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পেছনে কাজ করেছে লাগামহীন লোভ। নিয়ম মেনে ভবন নির্মাণ করা হলে একসঙ্গে এত শ্রমিকের প্রাণ যেত না। ভবিষ্যতে শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে শিল্প-কারখানা গড়ে তুলতে হবে।

সৈয়দ সুলতান আহাম্মেদ বলেন, লোভের বলি হয়ে মানুষগুলো চলে গেছেন না-ফেরার দেশে। যাঁরা বেঁচে আছেন, তাঁদের অনেকে অঙ্গ হারিয়ে কর্মহীন হয়ে দুঃসহ জীবন যাপন করছেন। এতিম হয়ে পড়েছে অনেক শিশু। এই এতিম সন্তানদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। যাঁরা চিকিৎসার অভাবে এখনো কষ্ট পাচ্ছেন, তাঁদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।

ধসে পড়া ভবনের জায়গায় শ্রমিকদের পুনর্বাসনে ব্যবহারের পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়ে সম্মিলিত শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তার বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর চার বছর পার হয়ে গেছে। জমিটি সরকারের অনুকূলে নেওয়া হলেও দীর্ঘদিন সেটি খালি পড়ে আছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের এ নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই।

প্রতিবছর ২৪ এপ্রিল সাভার আসেন পাবনার সাঁথিয়ার গোপালপুর গ্রামের আবদুল আওয়াল। তাঁর মেয়ে রোজিনা আক্তার (৩৫) রানা প্লাজার তিনতলার একটি কারখানায় কাজ করতেন। ভবন ধসে অন্যদের সঙ্গে রোজিনাও মারা যান। আজ সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্বালন করে আওয়াল বলেন, ‘জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা না হলে আমার মেয়েসহ নিহত ব্যক্তিদের আত্মা শান্তি পাবে না।’

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ওই ভবন ধসের ঘটনায় মারা গেছেন ১ হাজার ১৪৫ জন শ্রমিক। আহত হয়েছেন ১ হাজার ১৬৭ জন। এর মধ্যে গুরুতর আহত ৮১ জন। বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে ২৯১টি লাশ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: