ঢাকা | রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ, সমাজ সেবক ও সংগঠক শ্রদ্ধেয়া আইভি রহমানের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে

বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ

odhikarpatra | প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০২২ ০১:১৯

odhikarpatra
প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০২২ ০১:১৯

 

প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ, সমাজ সেবক ও সংগঠক শ্রদ্ধেয়া আইভি রহমানের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি গভীর দুঃখ ও শোকের সাথে তাঁর স্মৃতি তর্পণ করছে ও তাঁর পরিবারবর্গকে আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছে।

তিনি ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদিকা, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পরবর্তীতে সভাপতি, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান এবং দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সংস্থার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তাঁকে এই সংস্থার সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরিয়ে দিলেও ১৯৮৩ সালে এই সংস্থায় তিনি পুনর্বার এই পদে নির্বাচিত বন।

অথচ এত পদে থেকেও তিনি ছিলেন একেবারেই নিরহংকার। কর্মীদের সাথে তিনি মিশতেন একেবারেই সাধারণের মতো। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দিনেও তিনি তার কর্মীদের সাথে ট্রাকের পাশে মাটিতে বসেছিলেন। নেত্রী তাঁকে ডেকেছিলেন উপরে ট্রাকে বসার জন্য। সেখানে বসলে তিনি অনেক ছবিতে থাকতেন। কিন্তু তিনি ছবিতে থাকার চাইতে সবসময়ের মতো কর্মীদের সাথে থাকাই উপযুক্ত মনে মনে করতেন। অধিকাংশ নেতাদের সাথে এখানেই ছিল তাঁর পার্থক্য। (আজকে বিভিন্ন সংগঠনে ধাক্কাধাক্কি করে হলেও নেতা-কর্মীদের ছবি তোলার প্রবণতার বদ-কালচার দেখে শহিদ আইভি রহমানের কথা মনে পড়ে।) তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা ছিল অসীম। যে কারণে বঙ্গবন্ধু সবসময় তাঁকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন।

বর্বর গ্রেনেড হামলায় ভয়ানক আহত হয়ে তিনি মাটিতেই পড়ে ছিলেন। গুলি, উপর্যুপরি টিয়ার শেল বৃষ্টি ও লাঠিচার্জের মধ্যেও অসীম সাহসী আওয়ামী লীগ কর্মীরা তাঁকে হাসপাতালে যখন নিয়ে যান তখন তিনি ছিলেন মুমূর্ষু। হাসপাতাল থেকে সব ডাক্তারকে ষড়যন্ত্র অনুযায়ী তখনকার সরকার আগেই সরিয়ে নেয়। ফলে কাউকে কোনো চিকিৎসাই দেয়া হচ্ছিল না। খবর পেয়ে সন্ত্রস্ত সন্তানরা ছুটে এসে তাঁকে অন্য হাসপাতালে নিতে চাইলেও পুলিশ সব গেট বন্ধ করে দিয়েছিল। শুধু সিএমএইচে নেয়ার শর্তে তাঁর সন্তানরা তাঁকে বের করতে পারেন। মৃত্যুর সাথে অতি মুমূর্ষু এই মহীয়সী নারী প্রাণপণ লড়াই করেও ২৪ আগস্ট সিএমএইচে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

আমরা তাঁকে হত্যা করার এই বার্ষিকীতে তাঁর স্মৃতির প্রতি অসীম শ্রদ্ধা এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করছি। মহানআল্লাহতায়ালা যেন তাঁকে শহিদের মর্যাদায় জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন।

আগের মতো পুনরায় আমরা ২১শে আগস্টের ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের পরিপূর্ণ তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ এবং জড়িতদের সবার সর্বোচ্চ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিদানের দাবি জানাই।

জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।

ডাঃ এস এ মালেক
সভাপতি

অধ্যাপক আ ব ম ফারুক
সাধারণ সম্পাদক
বঙ্গবন্ধু পরিষদ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: