ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদী আন্দোলনই বাঙালির মুক্তির সড়ক নির্মাণ করে : ড. আরেফিন সিদ্দিক

odhikarpatra | প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:৫৬

odhikarpatra
প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:৫৬

ঢাকা, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩  : বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ও মুক্তির সংগ্রাম শীর্ষক আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, ১৯৪৭ সালের পর সূচিত ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদী আন্দোলন বাঙালির মুক্তি ও স্বাধীনতার সড়ক নির্মাণ করে দেয়। বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রেসক্লাবে আবদুস সালাম হলে আজ এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য অজিত কুমার সরকার, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক এবং বিএসএমএমইউর প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান। বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদের এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের নির্মাতা ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু শুধু ভাষাসৈনিক, ভাষাসংগ্রামী কিংবা ভাষা আন্দোলনের জন্য ছাত্রজনতাকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন তা নয় বরং এ পুরো বাঙালি জাতীয়তাবাদেরই নির্মাতা তিনি। আর এই নির্মাণে ভাষা একটা বড় ভূমিকা রেখেছে।’ তিনি বলেন, আজ থেকে প্রায় অনেক বছর আগে যখন নারীরা তাদের গৃহকাজে এবং বাড়ির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতেন এবং শিক্ষায় ছিল অনেক পিছিয়ে সেই সময়ে সাধারণ মহিলা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এককভাবে মিছিল এবং আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিল ভাষা আন্দোলনে। এ থেকেই বোঝা যায় বঙ্গবন্ধু কিভাবে সাড়ে তিন কোটি থেকে চার কোটি বাঙ্গালীকে তখন ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন এবং তারাই পর্যায়ক্রমপ ১৯৭১ সালে ৭ থেকে ৮ কোটি বাঙালিতে পরিণত হল। অজিত কুমার সরকার বলেন, তরুণ ছাত্রনেতা শেখ মুজিব ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সাথে গণতন্ত্র, বৈষম্যমুক্তি, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং ছয় দফা ভিত্তিক স্বায়ত্তশাসনের দাবি যোগ করে বাঙালির মুক্তি ও স্বাধীনতার আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যান। যার ফলে ১৯৭১ সালে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু বাঙালির আর্থসামাজিক মুক্তির লক্ষ্যে সুপরিকল্পিত ও সুনির্দিষ্ট অর্থনৈতিক কার্যক্রম শুরু করেন এবং প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গ্রহনের পরের বছর অর্থাৎ ১৯৭৪-৭৫অর্থবছরে ৯.৫ শতাংশ জিডিপি অর্জিত হয়। দেশ যখন স্থিতিশীল অবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই স্বাধীনতা বিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে এবং সুদীর্ঘ ২১ বছরের জন্য থামিয়ে দেয় বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম। ১৯৯৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার লক্ষে কর্মসূচি গ্রহণ করেন। এরপর ২০০৯ সালে তিনি আবারও সেই কার্যক্রম হাতে নেন। শেখ হাসিনার হাত ধরেই এখন দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রেহমান সোবহান এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান লালটু।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: