
দুই বন্ধু বলরাম রাজবংশী ও নায়েব আলী। বলরাম রাজবংশী মাছের আড়তে কাজ করেন আর তার বন্ধু নায়েব আলী ডেকোরেটর ব্যবসায়ী। তাদের বাড়ি টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের ফটিকজানি ও ভাষানি এলাকায়। এই দুই বন্ধুর বিচক্ষণতায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি।
গত রবিবার ভোররাতে কালিহাতী উপজেলার পুংলী নদীর উপর পৌলী রেলসেতুর দক্ষিণ অংশের সংযোগস্থলের প্রায় ৩০ ফুট এলাকাজুড়ে মাটি সরে গিয়ে প্রায় ২০ ফুট গভীর খাদের সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে বলরাম রাজবংশীর বাড়ি। প্রতিদিনের মতো রবিবার ভোররাতে মাছের আড়তে যাওয়ার সময় সে ঘটনাটি দেখতে পায়। বিপদ আঁচ করতে পেরে সঙ্গে সঙ্গেই তার বন্ধু নায়েব আলীকে ফোন দিয়ে ঘটনাস্থলে আসতে বলে। বন্ধুর ফোন পেয়েই ছুটে আসেন নায়েব আলী।
রেললাইনের পাশে থাকায় ট্রেনের সময়সূচি প্রায় মুখস্হ তাদের। কিছু সময়ের মধ্যেই আরও একটি ট্রেন এ রাস্তা ধরে যাবে জেনে দৌঁড়ে বাড়িতে গিয়ে নায়েব আলী তার ভাবীর একটি লাল ওড়না নিয়ে আসেন। এসময় নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকার উদ্দেশে দ্রুত বেগে ছুটে আসছিলো। ছোট্ট একটি বাঁশের টুকরোয় সেটি বেধে দ্রুত রেল লাইনে গিয়ে দাঁড়ান তারা। ট্রেনের চালক বিপদ সংকেত দেখে ট্রেন থামিয়ে দিলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।
এ বিষয়ে বলরাম রাজবংশী বলেন, ‘রেল লাইনের এই রেলসেতু দিয়েই প্রতিদিন এলেঙ্গা মাছের আড়তে যাই। রবিবার ভোরে রেলসেতুটির কাছে গেলে দেখতে পাই দক্ষিণ পাশের মাটি সরে বড় গর্ত হয়ে গেছে। বিষয়টি দেখেই আমি আমার বন্ধু নায়েব আলীকে ফোন করে জানাই। সেই সঙ্গে স্থানীয় লোকজনকেও ফোন করি।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: