
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বঙ্গবন্ধু পরিষদের পক্ষ থেকে আজ এক যুক্ত-বিবৃতিতে আমাদের জাতীয় চার নেতার অন্যতম নেতা, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর শহিদ এ এইচ এম কামারুজ্জামানের ১০০তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
এই যুক্ত-বিবৃতিতে তাঁরা বলেন , “১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে তাঁর অবদানের কথা জাতি চিরদিন অত্যন্ত শৃদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করবে। মুজিবনগরে বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠন করা এবং মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত ও কার্যকরভাবে তা পরিচালনা করায় তিনি যে দক্ষতা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছেন তা ইতিহাসে সোনালী হরফে লেখা থাকবে।
ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সাহচর্যে থেকে অন্যান্য জাতীয় নেতা শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও শহীদ এম. মনসুর আলীর সাথে পূর্ব বাংলার মানুষের মধ্যে বাঙ্গালি জাতীয়বাদের মানস গঠন করে বাঙ্গালি জাতিসত্তার উন্মেষ ঘটানো, সেখান থেকে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে ৬-দফার আন্দোলনকে বেগবান করে স্বায়ত্ত্বশাসনের দাবিতে গণ-আন্দোলন সৃষ্টি করা, ১৯৭০-এর জাতীয় নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ, ১৯৭১-এর অসহযোগ আন্দোলন এবং পরবর্তীতে দীর্ঘ নয় মাসের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন ইত্যাদি প্রতিটি স্তরে তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধু ও তাঁর উপরিল্লিখিত সহনেতাদের উপযুক্ত সহকর্মী। স্বাধীন বাংলাদেশ পরিচালনাকালে ও বঙ্গবন্ধুকে নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডের পরেও দলের অধিকাংশ নেতৃবৃন্দের ভীরুতা ও আপোষকামীতার মধ্যেও জাতীয় চার নেতার অন্য সদস্যদের মতোই তিনিও দৃঢ়ভাবে স্বাধীনতা ও আদর্শবাদীতার প্রতি একনিষ্ঠ ছিলেন এবং ষড়যন্ত্র ও বিশ্বাসঘাতকতার ঊর্ধ্বে ওঠে নির্মমভাবে শহীদ হয়েছেন। জাতি তাঁকেসহ এই জাতীয় চার নেতাকে কোনোদিন ভুলতে পারবে না। আজ তাঁর জন্মশতবার্ষিকীতে তাঁকে বঙ্গবন্ধু পরিষদের পক্ষ থেকে লাল গোলাপ ও কৃষ্ণচূড়ার টকটকে লাল শুভেচ্ছা ও অশেষ আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাই।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: