
নিজস্ব প্রতিবেদক:
একই অপরাধে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় মামলা ও রিমান্ডে নেওয়া এক ধরনের হয়রানি বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। আজ রবিবার (১৬ জুলাই) রাজশাহীর বিএনপি নেতা চাঁদকে বার বার রিমান্ডে নেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের শুনানিকালে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মো. শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, একই অভিযোগে একটি মামলা হলেই তো যথেষ্ট। একই অভিযোগে একই অপরাধে বিভিন্ন জায়গায় মামলা করছেন, রিমান্ডে নিচ্ছেন এটা-তো হ্যারেসমেন্ট (হয়রানি)। তারা (চাঁদের আইনজীবী) চাচ্ছেন, সব মামলার এক জায়গায় বিচার হোক। এক মামলায় প্রয়োজনে তাকে ফাঁসি দেওয়া হোক।আপনারা যে রাস্তা দেখাচ্ছেন এটা একদিন আপনাদের জন্যই কাল হতে পারে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জাান। চাঁদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
পরে আদালত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে বিভিন্ন জেলায় রিমান্ডে না নেওয়ার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি একই অভিযোগে বিভিন্ন জেলায় দায়ের করা মামলা শুধু রাজশাহীর আদালতে বিচার করারও নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
আজ রবিবার (১৬ জুলাই) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মো. শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত ১০ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে বিভিন্ন জেলায় দায়ের করা মামলায় আবু সাঈদ চাঁদের রিমান্ড বন্ধ করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে একই অভিযোগের মামলায় বিভিন্ন জেলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো বন্ধ করার নির্দেশনা চাওয়া হয়। আবু সাঈদ চাঁদের মেয়ে শিরিন আক্তার এ রিট দায়ের করেন। গত ১৯ মে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদ জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘হত্যার হুমকি’ দেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর দেশের বিভিন্ন জেলায় চাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। তার শাস্তির দাবিতে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।
গত ২৫ মে বেলা ১১টার দিকে নগরীর ভেড়িপাড়া মোড় থেকে বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর বিভিন্ন থানার মামলায় পুলিশ কয়েক দফা তাকে রিমান্ডে নেয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: