ঢাকা | শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

চবিতে জনস্বার্থে সাংবাদিকতার সংকট ও সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

চবি প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ২ জুন ২০২৪ ২৩:১৩

চবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২ জুন ২০২৪ ২৩:১৩

চবি প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস) ও দৃক এর যৌথ উদ্যোগে 'জনস্বার্থে সাংবাদিকতার সংকট ও সম্ভাবনা' শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (২ জুন) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের সম্মেলন কক্ষে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

ইংরেজি দৈনিক নিউ এইজ পত্রিকার সাংবাদিক ও দৃকের পরিচালক ড. সায়দিয়া গুলরুখের সঞ্চালনায় সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক বাংলার ব্যুরো প্রধান ডেইজি মউদুদ, দৈনিক আজকের পত্রিকার ব্যুরো প্রধান সবুর শুভ ও দৈনিক আমাদের সময়ের ব্যুরো প্রধান হামিদ উল্লাহ।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন চবিসাসের সভাপতি মোহাম্মদ আজহার ও সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান সহ ক্যাম্পাসের কর্মরত সাংবাদিক ও সাংবাদিকতায় আগ্রহী প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী।

হামিদ উল্লাহ তার আলোচনায় বলেন, সাংবাদিকতা একটি বুদ্ধিবৃত্তিক পেশা। এ জন্য সাংবাদিকদের প্রচুর জ্ঞান অর্জন করতে হবে। ফলে বই পড়ার কোন বিকল্প নেই। আবার অনেকে এই পেশাকে কার্ড বাণিজ্য হিসেবে নিচ্ছে, কিন্তু এ থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। এই শিল্পকে বাঁচাতে সকলে মিলে কাজ করতে হবে।

সবুর শুভ বলেন, সাংবাদিকতা বিষয়টি জনস্বার্থের সাথে জড়িত। এর শুরুই হয়েছে দেশের ও মানুষের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে। কিন্তু আমাদের ব্যস্ততার জন্যই জনস্বার্থে সাংবাদিকতা হচ্ছে না। হয়  প্রতিনিধিরা বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত নতুবা পত্রিকার হাউজগুলো কমার্শিয়ালি চিন্তায় ব্যস্ত।

তিনি আরও বলেন, প্রতিটি পেশায় বিভিন্ন সংকট রয়েছে, ঠিক তেমনি সাংবাদিকতায়ও অনেকগুলো সংকট রয়েছে। তাই বলে থেমে যাওয়া চলবে না। সকল সংকট মোকাবেলা করে এগিয়ে যেতে হবে। আর সম্ভাবনা বলতে গেলে, অনলাইন চলে আসার পর মনে করা হতো প্রিন্ট পত্রিকার যুগ শেষ! কিন্তু প্রিন্ট পত্রিকা এখনো ভালো অবস্থানে রয়েছে এবং উত্তরোত্তর অনলাইনের পাশাপাশি প্রিন্টের  চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা সাংবাদিকদের জন্য একটি নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা তার নিজস্ব গতিতে এগিয়ে যাবে। আমাদের শুধু সঠিক ও পরিচ্ছন্নভাবে কাজ করে যেতে হবে।

ডেইজি মওদুদ তার আলোচনায় ৪০ বছরের  সাংবাদিকতা  জীবনের কঠোর পরিশ্রম, অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও হার না মানা এক সংগ্রামের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। তিনি বলেন, আমি কখনো থেমে থাকিনি, জনস্বার্থের জন্য কাজ করেছি। আমার প্রতি অনেকে বিরক্ত হত, অফিস থেকে নারী বলে বের করে দিতে চাইত এর পরও লেগে থেকেছি।

আলোচনার এক পর্যায়ে প্রশ্নত্তোর পর্ব চলে। সেখানে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা উন্মুক্ত প্রশ্ন করার সুযোগ পায়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: