
চবি প্রতিনিধি : সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহালের দাবিতে দেশব্যাপী চলমান কোটা আন্দোলনের অংশ হিসেবে "বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের" ব্যানারে সর্বাত্মক আন্দোলনের উদ্দেশ্যে গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করে(চবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৯জুলাই) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে তারা গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করে। পরে শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া, শামসুন্নাহার ও প্রীতিলতা হলে গণসংযোগ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।এসময় শিক্ষার্থীরা হলে আবস্থিত শিক্ষার্থীদের কোটা বিরোধী আন্দলনে যোগ দেওয়ার জন্য আহব্বান জানান।
গণসংযোগ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের "এসে ভাই এসো বোন রাজপথে ভয় নাই" "বন্ধু যখন রাজপথে তুমি কেন হলে" "বন্ধু যখন রাজপথে তুমি কেন ঘুমে" "মেধা না কোটা? মেধা- মেধা", "মেধাবীদের কান্না, আর না, আর না, কোটার বিরুদ্ধে -লড়াই হবে একসাথে " প্রভৃতি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
প্রথম বর্ষের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী রেদওয়ানুল রইসলাম রাফি বলেন,আজকে আমাদের এই গণসংযোগ কর্মসূচী সাধারণ শিক্ষার্থীদের একীভূত করার জন্য। যারা আন্দোলনে যোগ দিতে ভয় পাচ্ছে, তাদেরকে সাহস জোগানোর জন্য। তাদের এই নিশ্চয়তা দেওয়া যে তাদের কোনো ভয় নেই।
দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী কানিজ ফাতেমা বলেন, কোটা ব্যাবস্থা থাকলে পড়াশোনা করে কোনো লাভ নেই,কারণ আমরা জব পাবো না। তাই আমাদের সকল মেয়ে শিক্ষার্থীদের উচিত আন্দোলনে যোগ দিয়ে আন্দোনকে আরো বেগবান করা। সে সকল হলের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি- সকল গ্রেডে বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য যে কোটা রয়েছে সেটাকে ন্যূনতম মাত্রায় এনে সংসদে আইন পাশ করতে হবে।এই দাবি বাস্তবায়নের লক্ষে টানা আট দিন আন্দোলনের পর শিক্ষার্থীদের দাবি আদায় না হওয়ায় ১০ তারিখে শিক্ষার্থীরা দেশব্যপি সর্বাত্মক বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি গ্রহণ করে। ১০তারিখের সেই কর্মসূচিকে সার্থক করার জন্য তারা আজকের এই গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: