ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

চবিতে পদত্যাগ করলেন ৫ সমন্বয়ক ও সহ- সমন্বয়ক

চবি প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ১৬ আগস্ট ২০২৪ ২৩:০৬

চবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৬ আগস্ট ২০২৪ ২৩:০৬

চবি প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) সমন্বয়কারীদের একাংশ সমন্বয়হীনতার অভিযোগ তুলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন  সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকালে ৫টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যামে তার আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেন।পদত্যাগকারীরা হলেন সমন্বয়ক সুমাইয়া শিকদার এবং সহ-সমন্বয়ক আল মাসনূন, ধ্রুব বড়ুয়া, ঈশা দে ও সাইদুজ্জামান রেদোয়ান।

তারা বলেন, বৈষমাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সফল গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যামে স্বৈরাচারের পতনের পর, আমাদের মাঝে নানা ধরণনের সমন্বয়হীনতা দেখা যয়। যার কারনে আজকে আমরা পদত্যাগ করতেছি।

তার আরও বলেন,মেইন সমন্বয়কারীরা অনন্য সমন্বয়কারী এবং  সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে কোনো প্রকার মতামত না নিয়ে একপাক্ষিকভাবে সব সিদ্ধান্ত নিয়ে যাচ্ছে। যার কারনে আমাদের মাঝে দুরুত্ব তৈরি হয়েছে।উদাহরণ হিসাবে তারা বলেন,প্রশাসনের পদত্যাগ আমরাও চেয়েছিলাম কিন্তুু তা ধাপে ধাপে যেমন: ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের আগমন, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও সকল প্রকার লেজুড়বৃত্তিক ও দখলদারি দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করার পর প্রশাসন পদত্যাগ করানো কিন্তুু তারা সেই  কথা না ধরে একবারেই প্রশাসন কে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন।

তারা আরও বলেন,আন্দোলনের সময় সমন্বয়কারীর সংখ্যা ছিল ২২ জন কিন্তুু ৫ আগষ্ট তার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাড়ায় ৩০ জন।এই অতিরিক্ত ৮ জন সম্পর্কে এবং সম্প্রতি ক্যাম্পাসে নানা ঘটনা ঘটতেছে (মেইন গেইট বন্ধ রাখার বিষয়) নিয়ে মেইন সমন্বয়কারীদের সাথে এই যোগাযোগ করা হলে। তারা  আশানুরূপ উত্তর দেয় নি।

বক্তব্য তারা আরও বলেন,এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে আমরা  নিজ নিজ সমন্বয়ক পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা করছি। আগামীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে যেইসকল কর্মসূচি পালন হবে তার সাথে আমাদের কোনো যোগাযোগ থাকবে না। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে আমরা সব সময় ছিলাম এবং আগামীতেও থাকবে। 

সমন্বয়হীনতার বিষয়ে পদত্যাগকারী সহ-সমন্বয়ক আল মাশনুন বলেন, সমন্বয়কদের কাজ হলো সকল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসে তারা তাদের কাজ চালিয়ে যাওয়া।  কিন্তুু সমন্বয়করা সেটা না করে চট্টগ্রামে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনে নিজেদেরকে ব্যস্ত রেখেছে। আজকেও চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আলোচনা সভা আছে, আমরা সেটা বর্জন করেছি। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ইস্যুতে আমরা ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তারা আলোচনা করে নি।

পদত্যাগের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, সমন্বয়ক হিসেবে আমাদের আর থাকার কোনো যৌক্তিকতা নেই। যেহেতু আমাদের আন্দোলন শেষ, দেশে অন্তর্বতীকালীন সরকার আছে, তাই আমাদেরও দায়িত্ব শেষ। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যেকোনো যৌক্তিক আন্দোলনে আমরা থাকবো।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুলাই ২২ জন সদস্য করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক কমিটি ঘোষণার করা হয়। কিন্তুু পরবর্তীতে নিরাপত্তা জনিত কারণে কমিটি বাতিল ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ। এরপর ৫ আগস্ট মোট ৩০ জনকে সদস্য করে পুনরায় সমন্বয়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: