odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Saturday, 13th December 2025, ১৩th December ২০২৫

শান্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজ ৬ বছরে শেষ হয়নি

odhikarpatra | প্রকাশিত: ১৮ December ২০২৪ ১৯:২৮

odhikarpatra
প্রকাশিত: ১৮ December ২০২৪ ১৯:২৮

খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার শান্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ শুরুর দেড় বছরের মধ্যে ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ ৬ বছরে ও শেষ করতে পারেনি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর।

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলেও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কোন শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। শ্রেণীকক্ষ সংকটের কারনে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার শান্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালে ৪ ফেব্রুয়ারি। ৫ শ্রেণীকক্ষ বিশিষ্ট পুরাতন পাকা ভবন ভেঙে নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। দরপত্রের শর্তানুযায়ী কার্যাদেশ পাওয়ার ৫ শ ৪৬দিনের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। অথচ এরপর ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় শ্রেণীকক্ষ সংকটে পাঠদান দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ৪ শ শিক্ষার্থীর পাঠদানের জন্য ১৫ টি শ্রেণীকক্ষ থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র ৪টি কক্ষ। বেশি বিপাকে রয়েছে নবম ও দশম শ্রেণীর শির্ক্ষাথীরা। রুম সংকটে বিভাগ ভিত্তিক পাঠদান করাতে হিমশিম খাচ্ছে শিক্ষকরা।

দীঘিনালা শান্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জ্ঞান চাকমা বলেন পর্যাপ্ত ক্লাসরুম না থাকায় শিক্ষকরা ঠিক মত ক্লাস নিতে পারছেন না। দ্রুত সময়ে ভবন নির্মাণের কাজ শেষ করে পাঠদান উপযোগী করে তোলার দাবি শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির।

এদিকে ইউটিমং এন্টার প্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্টান কাজটি বাস্তবায়নের কার্যাদেশ পেলেও প্রতিষ্টানটির মালিক ইউটিমং জানান বর্তমানে কাজটি বাস্তবায়ন করছে থং মারমা নামে এক উপ ঠিকাদার। তবে ঠিকাদার ইউটিমং জানান শ্রমিক সংকটের কারণে নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারেনি। নতুন শ্রমিক এনে কাজ শেষ করা হবে বলে জানান তিনি।

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলেও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর । এর মধ্যে ঠিকাদার অধিকাংশ অর্থ উত্তোলন করে নিয়েছে। এ নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি তিনি।

সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে জানা যায় ভবন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে ২ কোটি টাকা উত্তোলন করে নিয়েছে ঠিকাদার।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: