
বহুল আলোচিত কুষ্টিয়ার মাদক সম্রাজ্ঞী নামে খ্যাত কামিনী বেগমকে (৪৩) গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। শনিবার (৩ মে) সকালে সদর উপজেলার চৌড়হাস ফুলতলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর কামিনীকে মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন। কামিনী একই এলাকার আজাদ সরদারের স্ত্রী।
এর আগে গত (বুধবার) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার উপপরিদর্শক রাসেল কবির বাদী হয়ে মডেল থানায় মামলা করেন। সেই মামলার প্রধান আসামি হয়ে কামিনী পলাতক ছিলেন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত (বুধবার) সন্ধ্যায় সেনাবাহিনী কুষ্টিয়া ক্যাম্পের একটি দল চৌড়হাস ফুলতলা এলাকার কামিনীর মাদক বিক্রির স্থান তার ডিমের দোকানঘরে অভিযান চালায়।
এসময় সেনাবাহিনীর সঙ্গে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী উপপরিদর্শক সোহরাব হোসেনের টিম উপস্থিত ছিলেন। ওই দোকানঘর তল্লাশি করে এক কেজি গাঁজা ও দুই বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর অভিযানিক দল।
এর আগে তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে কামিনী ও তার সহযোগী মোস্তফা সরদার পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর উপপরিদর্শক রাসেল কবির কামিনী ও মোস্তফা সরদারকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয়রা জানান, দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে কামিনী মাদক ব্যবসা করেন। বহুবার মাদকসহ গ্রেপ্তার হলেও ক্ষমতার প্রভাব আর টাকার জোরে জামিনে বের হয়ে পুনরায় কারবার শুরু করেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে কামিনী বেগম মাদক সম্রাজ্ঞী হিসেবেই পরিচিত। পুলিশের খাতায় তার নামে এক ডজনেরও বেশি মাদকের মামলা রয়েছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘নিজ এলাকা থেকে কামিনী বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। গ্রেপ্তারের পর কামিনীকে মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
ইউএনবি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: