odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২

মহাশূন্যে কানাডার স্বপ্নযাত্রা : চাঁদে যাচ্ছে কানাডার প্রথম রোভার

odhikarpatra | প্রকাশিত: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৩:৩৪

odhikarpatra
প্রকাশিত: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৩:৩৪

চাঁদকে ঘিরে মানুষের কৌতূহল হাজার বছরের। তবে প্রযুক্তির অগ্রগতিতে এখন চাঁদ শুধু রোমাঞ্চ নয়, হয়ে উঠছে ভবিষ্যৎ গবেষণার কেন্দ্র। সেই যাত্রায় এবার যোগ দিচ্ছে কানাডা, নিজের তৈরি প্রথম রোভার নিয়ে।

টরন্টো শহরের এক সাধারণ শপিং প্লাজায় অবস্থিত কানাডেনসিস এয়ারোস্পেসের কার্যালয়ে চলছে রোভার তৈরির প্রস্তুতি। বাইরে থেকে এটি সাদামাটা ভবন মনে হলেও ভেতরে প্রতিদিন জন্ম নিচ্ছে ইতিহাস। দেয়ালে ঝুলছে মহাকাশের মানচিত্র আর পোস্টার, প্রকৌশলীরা ব্যস্ত আছেন অচেনা যন্ত্রপাতি নিয়ে। এখান থেকেই কানাডার প্রথম চন্দ্র অভিযানের পথচলা শুরু।

কানাডেনসিসের প্রধান ড. ক্রিশ্চিয়ান সাল্লাবার্জার বলেন, মানব সভ্যতাকে একদিন পৃথিবীর গণ্ডি ছাড়াতে হবে। চাঁদ হচ্ছে সেই যাত্রার যৌক্তিক প্রথম ধাপ।

রোভারের লক্ষ্য:

এই রোভারের ওজন হবে প্রায় ৩৫ কেজি। চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে অবতরণ করে এর মূল কাজ হবে-

  • পানি অনুসন্ধান
  • বিকিরণ মাত্রা পরিমাপ
  • টানা ১৪ দিনের সমান দীর্ঘ রাত পার করে টিকে থাকার সক্ষমতা প্রমাণ

এছাড়া এটি কানাডিয়ান প্রযুক্তির শক্তি প্রদর্শনেরও সুযোগ এনে দেবে।

আর্টেমিস কর্মসূচির অংশ:

এই রোভার নাসার আর্টেমিস কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত। আর্টেমিস প্রকল্পের লক্ষ্য চাঁদে টেকসই মানব উপস্থিতি গড়ে তোলা। দীর্ঘমেয়াদে এটি মঙ্গলগ্রহে অভিযানের প্রস্তুতিও সহজ করবে।

মহাকাশ ইতিহাসে কানাডা:

কানাডার মহাকাশে অবদান নতুন নয়। ১৯৬২ সালে কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে দেশটি বিশ্বে তৃতীয় দেশ হিসেবে ইতিহাস গড়ে। পরবর্তীতে স্পেস শাটল ও আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের জন্য তৈরি বিখ্যাত ‘কানাডার্ম’ রোবটিক আর্ম আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক প্রশংসা পায়।

নাম এখনো অজানা:

রোভারের এখনো নাম নির্ধারণ হয়নি। অনলাইনে নাম খোঁজার প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছে কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সি। শিগগিরই বিজয়ী নাম ঘোষণা করা হবে।

সামনে কী অপেক্ষা করছে?

২০২৯ সালের আগে এই রোভার উৎক্ষেপণের সম্ভাবনা নেই। প্রতিটি অংশ আলাদা করে পরীক্ষা করা হচ্ছে, যেন মহাকাশের কঠিন পরিবেশে টিকে থাকতে পারে। সফল হলে এই রোভার শুধু কানাডার জন্য নয়, গোটা মানবজাতির জন্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে। ড. সাল্লাবার্জারের ভাষায়, মানুষ যখন সিনেমায় স্টার ওয়ার্সবা স্টার ট্রেকদেখে বিস্মিত হয়, তখন আমি বলি-এই রোভারই সেই বাস্তব সিনেমা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রকল্প কানাডার মহাকাশ গবেষণায় নতুন মাইলফলক হয়ে দাঁড়াবে। এর আগে দেশটি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ, স্পেস শাটল ও আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের জন্য বিখ্যাত ‘কানাডার্ম’ রোবটিক আর্ম তৈরির মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি পায়।

- বিশেষ প্রতিনিধি (Special National Correspondent) মোঃ সাইদুর রহমান (বাবু)



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: