odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Wednesday, 22nd October 2025, ২২nd October ২০২৫

জাতীয় পরিচয়পত্রে পর্নো-তারকা যুগলের চাঞ্চল্যকর তথ্য, একসময় ঘর ছেড়েছিলেন বৃষ্টি!

odhikarpatra | প্রকাশিত: ২২ October ২০২৫ ০০:৫০

odhikarpatra
প্রকাশিত: ২২ October ২০২৫ ০০:৫০

ঢাকা | মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা বাংলাদেশি পর্নো-তারকা যুগল মোহাম্মদ আজিম ও বৃষ্টির জাতীয় পরিচয়পত্র ঘিরে বেরিয়ে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বান্দরবান থেকে গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তাদের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পল্টন থানা পুলিশ।

এর আগে সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান।

জাতীয় পরিচয়পত্রে যা জানা গেল
বৃষ্টির এনআইডি অনুযায়ী তিনি মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বাসিন্দা। কিন্তু পুলিশ যাচাইয়ে দেখা গেছে—ওই ঠিকানাটি তার প্রথম স্বামীর বাড়ি। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, বৃষ্টি আট বছর আগে ঘর ছেড়ে চলে যান এবং আর কখনো ফেরেননি।

তার সাবেক শ্বশুর জানান, “একদিন চলে গেল, আর ফিরে আসেনি। আট বছর হয়ে গেল।”
অন্যদিকে, বৃষ্টির বাবাও জানিয়েছেন যে, তিনি এক বছর আগে মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। তার ভাষায়, “আমরা তাকে ত্যাজ্য করেছি, কোনো যোগাযোগ নেই।”

অপরদিকে, পুরুষ সদস্য মোহাম্মদ আজিমের জাতীয় পরিচয়পত্রে উল্লেখ রয়েছে তিনি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বাসিন্দা। স্থানীয়রা জানান, আজিম এলাকার “অন্ধকার জগতের মানুষ” হিসেবে পরিচিত। এমনকি তার কারণে গ্রামের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন এক প্রতিবেশী।

পুলিশ রেকর্ড অনুযায়ী, গত ২৫ আগস্ট আজিমকে মাদক-সংক্রান্ত একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল আনোয়ারা থানায়। তবে কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি মুক্তি পান।

সিআইডির তথ্য: দেশে বসেই তৈরি করতেন পর্নো ভিডিও
সিআইডি জানিয়েছে, আজিম ও বৃষ্টি বাংলাদেশেই বসে ভিডিও ধারণ, সম্পাদনা ও অনলাইন মাধ্যমে আপলোড করতেন। এর মাধ্যমে তারা বিপুল অর্থ উপার্জন করতেন এবং অন্যদেরও একই কাজে উৎসাহিত করতেন। ফলে দেশে বসেই গড়ে উঠেছিল পর্নো ভিডিও উৎপাদন ও প্রচারের একটি নেটওয়ার্ক।

বাংলাদেশের ‘পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২’ অনুযায়ী, পর্নোগ্রাফি উৎপাদন ও বিতরণ ফৌজদারি অপরাধ—যার সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছর কারাদণ্ড।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল
দ্য ডিসেন্ট নামের এক অনলাইন মাধ্যম তাদের নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি ভাইরাল হয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অনেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করলেও, কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন—এই নেটওয়ার্কের পেছনে আরও কারা জড়িত?



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: