খুলনা | ২৬ নভেম্বর ২০২৫
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ২৫ নভেম্বর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রমের ৩৪ বছর পূর্ণ হয়ে ৩৫ বছরে পদার্পণ করলো।
দিবসটি উপলক্ষে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ‘শহিদ মীর মুগ্ধ তোরণ’ থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি দ্বিতীয় গেট ঘুরে অদম্য বাংলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এতে অংশ নেন।
শোভাযাত্রা শেষে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিক কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। পরে সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। একইসঙ্গে স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন, কৃতিত্ব অর্জনকারী শিক্ষার্থী ও সংগঠনকে সম্মাননা প্রদান এবং কেক কাটার আয়োজন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে অদম্য বাংলা প্লাজায় বিভিন্ন বিভাগ ও ডিসিপ্লিন তাদের বিগত বছরের অর্জন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন করে। এছাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল এবং মন্দিরে প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, সড়ক, হল ও ভবনসমূহ আলোকসজ্জায় দৃষ্টিনন্দন করে তোলা হয়।
সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের উচ্চশিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। এখানকার গ্র্যাজুয়েটরা দেশ-বিদেশে সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন—এটাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় অর্জন।
তারা আরও জানান, বর্তমান প্রশাসনের সময়কালে শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে একাধিক নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ‘কোলাবরেটিভ রিসার্চ গ্রান্ট প্রোগ্রাম’ এবং ‘টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ’ কর্মসূচি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ভবিষ্যতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি গবেষণা-নির্ভর ও প্রভাবশালী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের লক্ষ্যেও পরিকল্পনা চলছে।
বর্ণাঢ্য কর্মসূচি ও উৎসবমুখর পরিবেশে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সম্মাননা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মুখর ছিল পুরো ক্যাম্পাস।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: